ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

সাক্ষী না আসায় শেষ হচ্ছে না বিচার

জাহাঙ্গীর আলম | প্রকাশিত: ০৮:৫৫ এএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

রাজধানীর পুরান ঢাকার হোসনি দালানে পবিত্র আশুরার তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় বোমা হামলা মামলার বিচার চার বছরেও শেষ হয়নি। সাক্ষী না আসায় মামলাটির বিচার কার্যক্রম শেষ করতে পারছেন না রাষ্ট্রপক্ষ। সাক্ষীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরও তারা আদালতে উপস্থিত হচ্ছেন না।

রাষ্ট্রপক্ষ বলছেন, সাক্ষীদের আদালতে উপস্থিত করার দায়িত্ব পুলিশের। তাদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩১ মে জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ১০ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের পর ৪৬ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১১ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। সর্বশেষ গত বছরের ২২ অক্টোবর জৈনিক আবু সাঈদ নামে এক ব্যক্তি আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর আর কোনো সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেননি।

সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি বিচারাধীন। ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু এ প্রসঙ্গে বলেন, পুরান ঢাকার হোসনি দালানের তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলা মামলার সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত হচ্ছেন না। তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরও তারা আদালতে উপস্থিত হচ্ছেন না।

hosni-dalan

‘সাক্ষীদের আদালতে উপস্থিত করার দায়িত্ব তো পুলিশের। তাদের আদালতে উপস্থিত করানোর বিষয়ে পুলিশকে আরও সচেতন হতে হবে।’

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘তদন্ত শেষে এ মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। আদালত যখন বলবেন, তখন মামলার সাক্ষীদের হাজির করানো হবে।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ বলেন, সাক্ষীদের আদালতে উপস্থিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রপক্ষের। রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে সাক্ষী উপস্থিত না করায় মামলাটির সাক্ষ্য হচ্ছে না। রাষ্ট্রপক্ষের উচিত সাক্ষীদের আদালতে উপস্থিত করানো।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে জেএমবির সদস্যরা হোসনি দালানে গ্রেনেড হামলা চালায়। এতে দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হন। পরে ওই ঘটনায় চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেন।

hosni-dalan

২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক শফি উদ্দিন ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটের সবাই জেএমবির সদস্য বলে উল্লেখ করা হয়।

২০১৭ সালের ৩১ মে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলাটি অষ্টম অতিরিক্ত আদালতে বদলি করা হয়। গত বছরের ১৪ মে মামলাটি অষ্টম অতিরিক্ত আদালত থেকে সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে বদলি করা হয়। বর্তমানে সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

মামলার আসামিদের মধ্যে কবির হোসেন, জাহিদ হাসান, রুবেল ইসলাম আবু সাঈদ, আরমান ও মাসুদ রানা বর্তমানে কারাগারে আটক। হাফেজ আহসান উল্লাহ মাসুদ, শাহ জালাল, ওমর ফারুক ও চাঁন মিয়া জামিনে আছেন।

জেএ/এমএআর/জেআইএম

আরও পড়ুন