সচিবসহ সাত জনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রুল
রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দিতে আদালতের নির্দেশ পালন না করায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবসহ সাত জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো.ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম এম নুরুজ্জামান।
২০১০ সালের ১১ এপ্রিল রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তির ৩ নম্বর শর্তে উপজেলা ভিত্তিক নিয়োগের কথা বলা হয়।
পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শেষে ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল উত্তীর্ণ ৪২ হাজার ৬১১ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে এর কয়েকদিন আগে ২০১২ সালের ২১ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর এক পরিপত্রে উপজেলা ভিত্তিক নয়, ইউনিয়ন ভিত্তিক নিয়োগের কথা জানায়। এরপর বিভিন্ন সময়ে প্রায় ১০ হাজার জনকে নিয়োগ দেয়া হয়।
কিন্তু যারা নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছেন তাদের মধ্যে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার ১০ জন পরীক্ষার্থী ইউনিয়ন ভিত্তিক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং তাদেরকে নিয়োগের নিদেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।
এ আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৪ সালের বছরের ১৮ জুন তাদের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়ে ইউনিয়ন ভিত্তিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টর এ আদেশের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়সহ অন্যরা আপিল করলে চলতি বছরের ৭ মে তা খারিজ করেন আপিল বিভাগ।
কিন্তু উচ্চ আদালতের এ নির্দেশনা পালন না করায় মঙ্গলবার সাত জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমানার অভিযোগ দায়ের করেন। আইনজীবী নুরুজ্জামান জানিয়েছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মেজবাহ উল আলম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো.আলমগীর, পরিচালক(পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মো.আনোয়ারুল হক।
এছাড়া, উপ সচিব নুজহাত ইয়াসমিন, নওগাঁ জেলার ডিসি ড.আমিনুর রহমান, নওগাঁ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম মন্ডল, মহাদেবপুর উপজেলার শিক্ষা অফিসার মো.আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ১০ জনের পক্ষে আদালত অবমাননার আবেদনটি দায়ের করেন নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার মো.শফিকুল ইসলাম জুয়েল।
এফএইচ/এসকেডি/পিআর