ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

খালেদার মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ অক্টোবর

প্রকাশিত: ০৯:০১ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ১৫ অক্টোবর ধার্য করা হয়েছে।

ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের আদালত আজ এ আদেশ দেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার জব্দ তালিকার আরও দুই সাক্ষীর আজ সাক্ষ্যগ্রহণের পর পরবর্তী ওই দিন ধার্য করে আদেশ দেয় আদালত।

আজ আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে অসুস্থ ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকায় আদালতে অনুপস্থিতির জন্য খালেদা জিয়ার পক্ষে সময়ের আবেদন পেশ করে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। আদালত খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতির আবেদন মঞ্জুর করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষীর জেরা মুলতবি রেখে নতুন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের আদেশ দেয়।

এছাড়াও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ বিধিসম্মত বলে দেয়া হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ‘লিভ টু আপিল’ বিচারাধীন থাকার কথা উল্লেখ করে এ মামলারও সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে সময়ের আবেদন করে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী। এ আবেদনটি নথিভূক্ত রেখেছে আদালত।

আজ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার জব্দ তালিকার দুই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষীরা হলেন- সোনালী ব্যাংকের এজিএম মো. আমিরউদ্দিন ও ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার পরিতোষ চন্দ্র দে।

মামলায় দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মোশররফ হোসেন কাজল। মোশররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন খালেদা জিয়া এ ট্রাস্ট করেছেন। যা আইনত করা য়ায় না। ট্রাস্টের অর্থ নিজেরা লাভবান হতে ব্যয় ও আত্মসাৎ করেছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় দুদক মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক অভিযোগপত্র দাখিল করে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাষ্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। গত ১৯ মার্চ দুই মামলায় খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩।

এফএইচ/এআরএস/এমএস