ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞ, তবে হুমকিও আছে : মিন্নির বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৪০ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৯

বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। তিনি বলেন, ‘এটি আমার বিজয়, আদালতের প্রতি আমি ও আমার পরিবার কৃতজ্ঞ। তবে এখনো মামলার সব আসামি গ্রেফতার হয়নি, তাই আমি হুমকিতে আছি। বিভিন্ন ধরনের হুমকি রয়েছে, তবে হত্যার হুমকি নেই।’

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) মিন্নির জামিন ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুব খুশি যে ন্যায়বিচার এখনো বাংলায় (বাংলাদেশে) প্রতিষ্ঠিত হয়, এটার প্রমাণ আজকে পাওয়া গেল। দুষ্কৃতকারীরা যেগুলো করতেছে সেগুলো সব জনসম্মুখে প্রকাশ পেয়েছে। এ জন্য আমি আন্তরিকভাবে গর্বিত। আমি সুন্দর একটা রায় পেয়েছি। এটি আমার বিজয়।’

এর আগে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে দুই শর্তে জামিন দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। গতকাল বুধবার (২৮ আগস্ট) তার জামিন প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি শেষে আজ (বৃহস্পতিবার) রায়ের জন্য ধার্য ছিল।

২০ আগস্ট এক সপ্তাহের রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২৮ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে সিডি (কেস ডকেট) নিয়ে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়। এছাড়া হাত্যাকাণ্ডে মিন্নির সংশ্লিষ্টতার বিষয় জানিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে পুলিশ সুপারকে (এসপি) লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। সে অনুসারে তদন্ত কর্মকর্তা কেস ডকেট নিয়ে আদালতে হাজির হন।

চলতি বছরের ২৬ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড ২ জুলাই ভোরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। এর মধ্যে মামলার অন্য আসামিদেরও গ্রেফতার করা হয়।

১৬ জুলাই সকালে বরগুনার মাইঠা এলাকায় বাবার বাসা থেকে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরগুনার পুলিশ লাইন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রিফাত হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় ওই দিন রাত ৯টার দিকে মিন্নিকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।

এফএইচ/আরএস/এমকেএইচ

আরও পড়ুন