ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

আদালতে গরহাজির বাদী, জানেন না খালেদার মামলার খবর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৫১ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৯

ধর্মীয় উসকানি ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলায় গরহাজিরা দিচ্ছেন মামলার বাদী জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। এ ছাড়া মামলার শুনানির বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুরের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলার বাদী এদিন আদালতে উপস্থিত হননি।

অপরদিকে খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার। সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ২৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বিচারক আদেশে বলেন, মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলার বাদী গরহাজির রয়েছেন। অপরদিকে আসামিপক্ষ সময়ের আবেদন দাখিল করেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী এ বি সিদ্দিকী বলেন,আজ মামলাটি শুনানির জন্য ছিল, তা আমার জানা নেই। আমার আইনজীবীও আমাকে কিছু জানায়নি। তাই আদালতে আমি উপস্থিত হতে পারিনি।

সময়ের আবেদনে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বলেন,‘আজ মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। আসামি খালেদা জিয়া বর্তমানে কেন্দ্রীয় কারাগারে কারারুদ্ধ আছেন। ইতোমধ্যে উচ্চ আদালত থেকে তিনি এ মামলায় জামিন পেয়েছেন। দুইটি মামলায় আপিলে জামিন না হওয়ার কারণে বেগম খালেদা জিয়া জেল হতে মুক্তি পাননি। যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে আপিল মামলায় জামিন পাবেন তিনি। তিনি বর্তমানে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাই সংগত কারণে খালেদা জিয়ার জন্য সময় মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।’

এর আগে ২৯ জুলাই মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় বদলির আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান।

গত ২০ জানুয়ারি মানহানির মামলার প্রতিবেদন আমলে নিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম। গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গুলশান থানাকে নির্দেশও দেয়া হয় সেদিন। ১৮ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ হাফিজ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মামলায় খালেদা জিয়ার ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়ার অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব ধরনের মানুষের ওপর আঘাত করে। আর লোক দেখানো ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরা এ জবর-দখলকারী সরকারের হাতে কোনো ধর্মের মানুষই নিরাপদ নয়।’

ওই বক্তব্যের জের ধরে দণ্ডবিধির ১৫৩ (ক) ও ২৯৫ (ক) ধারায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর নালিশি মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর মামলাটি শাহবাগ থানার পরিদর্শক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

২০১৮ সালের ৩০ জুন দুই মামলায় অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা দুই মামলায় ১০ ও ৭ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন খালেদা জিয়া। আপিলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড বাড়িয়ে ১০ বছর এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালত তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বন্দি কয়েদি হিসেবে চিকিৎসাধীন।

জেএ/জেডএ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন