ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারে কারখানা স্থাপনে বাধা দিতে পারবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৩৪ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৯

সুন্দরবন এলাকার ১০ কিলোমিটারের (ক্রিটিক্যাল জোন) মধ্যে যেকোনো শিল্প কারখানা স্থাপনে সরকার বাধা দিতে পারবে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সুন্দরবন সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও আইনগত সব পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত সরকারের বলেও জানানো হয়েছে।

এ সংক্রান্ত তিন কোম্পানির রিটে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এগুলোসহ বেশকিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন।
বাগেরহাটের মোংলায় সুন্দরবনের সঙ্কটাপন্ন এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস), বারাকা এলপিজি লিমিটেড ও ডেল্টা এলপিজি লিমিটেড তরল প্রাকৃতিক গ্যাস বোতলজাতকরণ প্রকল্প নির্মাণের জন্য হাইকোর্টে আসেন তারা।

রুল নিষ্পত্তির পাশাপাশি রায়ে দুইটি পর্যবেক্ষণ দিয়ে আদালত বলেছেন, সুন্দরবন রক্ষার জন্য ভবিষ্যতে সরকার যদি মোংলা শিল্পাঞ্চল এলাকায় শিল্প-কারখানা বন্ধের পদক্ষেপ নেয় তাহলে এ রায় কোনো বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না। তাছাড়া এই এলাকায় কী ধরনের কতগুলো শিল্পকারখানা স্থাপন করা হবে, সে সিদ্ধান্ত নেয়ার সম্পূর্ণ এখতিয়ার সরকারের।

আদালতে মঙ্গলবার ডেল্টা এলপিজি লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শফিক আহমেদ ও আইনজীবী মাহবুব শফিক। ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস), বারাকা এলপিজি লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. মুনিরুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

আইনজীবী মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘এলপিজি বোটলিং প্লান্ট’ নির্মাণের জন্য সুন্দরবনের প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকায় ৩৬ একর জমি কিনে ঠেঙ্গামারা মহিলা সমিতি। পাঁচ বছর আগে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে তারা এ জমি কেনে। সরকারের অন্যান্য দপ্তর থেকে ‘এলপিজি বোটলিং প্লান্ট’ স্থাপনের অনুমোদন পাওয়ার পর পরিবেশগত ছাড়পত্রের জন্য ২০১৮ সালে পরিবেশ অধিদপ্তরে অবেদন করে। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর সে আবেদনের নিষ্পত্তি না করায় পরিবেশ অধিপ্তরের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের অক্টোবরে হাইকোর্টে রিট করে।’

তিনি বলেন, ‘বারাকা লিমিটেড ২০০৬ সালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিজ নেয়। পরে গত বছর তারা ‘এলপিজি বোটলিং প্লান্ট’ করতে পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্র চেয়ে গত বছরের ৫ মার্চ আবেদন করে। সে অবেদনটিও নিষ্পত্তি না করে ঝুলিয়ে রাখলে গত বছরের ১১ জুন হাইকোর্টে রিট করে। এছাড়া ডেল্টা এলপিজি লিমিটেডও এরকম একটি রিট করে। এই তিনটি রিটে পৃথক রুল জারি করে আদালত।’

ছাড়পত্র দিতে আবেদনের নিষ্পত্তি করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং কেন পরিবেশগত ছাড়পত্র দিতে নির্দেশ দেয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

এ আইনজীবী বলেন, ‘তিনটি পৃথক রিট একীভূত করে রুল শুনানি হয়েছে। আদালত রুল নিষ্পত্তি করে একটি নির্দেশনা ও দুইটি পর্যবেক্ষণসহ রায় দিয়েছেন।’

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, ‘এলপিজি কারখানা স্থাপনে পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য করা পৃথক তিনটি আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত। সঙ্গে দুটি পর্যবেক্ষণও দিয়েছেন।’

এফএইচ/আরএস/জেএইচ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন