গেজেট না করায় প্রশ্ন উঠতে পারে, মাদক আইন নিয়ে হাইকোর্ট
আইন হওয়ার পর ৮ মাস চলে গেলেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধান অনুসারে মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন না হওয়া এবং এ সংক্রান্ত অপরাধের বিচারের জন্য জেলা জজ বা দায়রা জজকে দায়িত্ব দিয়ে গেজেট প্রকাশ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
আইন হওয়ার পর এতদিনেও গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় প্রশ্ন উঠতে পারে এমন মন্তব্যও করেন আদালত।
আদালতে আজ জামিন আবেদনকারী মাসুদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আল ফয়সাল সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এক আসামির জামিন শুনানির মামলায় রোববার (২৫ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
এ সময় আদালত আরও বলেছেন, এক শিশু আইন সংশোধন করতে লেগেছে দুই-আড়াই বছর। তারপরও আমরা আশায় রইলাম। আগামী ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত মূলতবি রাখলাম। আশা করছি ১৩ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেল এ বিষয়ে একটা ভালো খবর দেবেন।
দীর্ঘদিনেও গেজেট না হওয়ায় এর আগে গত ৮ জুলাই স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইন সচিবকে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন এ আদালত।
১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন রদ করে গত বছর ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮’ শিরোনামে নতুন আইন করে সরকার। আইনটি গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর কার্যকর হয়। এই আইনের ৪৪ ধারায় এ-সংক্রান্ত অপরাধ বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনাল স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত সরকার গেজেটে প্রজ্ঞাপন দিয়ে যেকোনো জেলা জজ বা দায়রা জজকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে ট্রাইব্যুনালের দায়িত্ব দিতে পারবেন বলা আছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বংশাল থানায় করা এক মামলায় মাসুদুল হক মাসুদ নামের এক আসামির জামিন আবেদনের শুনানিতে আইনের ওই বিধানের বিষয়টি নজরে এলে হাইকোর্ট ওই আদেশ দেন। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি নতুন ওই আইনে মাসুদের বিরুদ্ধে বংশাল থানায় মামলাটি করে পুলিশ।
এফএইচ/এনএফ/পিআর