ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

ফখরুলসহ চার নেতাকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৫৬ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০১৯

ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকির অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ চার নেতাকে গ্রেফতার ও হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) শীর্ষ চার নেতার আগাম জামিন চেয়ে করা আবেদন শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম ছাড়া অপর তিন নেতা হলেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করবেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন এ জে মোহাম্মাদ আলী।

এর আগে সোমবার (৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি, হত্যার হুমকির অভিযোগে মামলা করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা ও ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া।

মামলায় বাদী অভিযোগে বলেন, চলতি বছরের ২৩ জুলাই বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা তাকে একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে ১৫ আগস্ট আইএস দিয়ে বাদীসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়।

এছাড়াও বোমা মেরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিক্ষেত্র উড়িয়ে দেয়া হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পরে তারেক রহমানের নেতৃত্বে গঠন করা হবে নতুন বাংলাদেশ।

তারেক রহমান আইএসের সঙ্গে চুক্তি করেছেন দাবি করে বাদী এবি সিদ্দিকী আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান।

পরে মামলার শুনানি নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার। তাই এ মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান বিএনপির চার শীর্ষ নেতা।

এফএইচ/বিএ/পিআর

আরও পড়ুন