চাকরির নামে প্রতারণা : জামিন মেলেনি ব্যবসায়ী সুমনের
চাকরির নামে প্রতারণা করার অভিযোগে গ্রেফতার ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসায়ী শাহিনুর কাদির সুমনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী শুনানি শেষে সোমবার (৫ আগস্ট) এ আদেশ দেন।
মিরপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আসাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার (৩ আগস্ট) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রাসেল।
অপরদিকে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন শাহিনুর কাদির সুমন। ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে জামিন শুনানির জন্য আগামী সোমবার (৫ আগস্ট) দিন ধার্য করেন।
রাজধানীর কলাবাগানের নিজ বাসা থেকে গত মঙ্গলবার মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিচয়ে ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসায়ী শাহিনুর কাদির সুমনকে তুলে নেয়া হয়। আজ তাকে গ্রেফতার দেখায় র্যাব। এরপর মিরপুর মডেল থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়।
তার বিরুদ্ধে শনিবার ‘চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার’ একটি মামলা করেন মোহাম্মদ কাশেম নামের এক ব্যক্তি। মিরপুর থানা পুলিশ সুমনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে।
মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছে মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রাসেলকে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘শনিবার ভোর ৪টায় বাদীর সহযোগিতায় র্যাব তাকে গ্রেফতার করে। এরপর মামলা করে আমাকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’
মোহাম্মদ রাসেল আরও বলেন, ‘এ পর্যন্ত জানতে পেরেছি, কাশেম নামে এক ব্যক্তিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা করেছেন সুমন। তদন্ত চলছে, তদন্তের পর বিস্তারিত জানাতে পারব।’
গত ৩০ জুলাই কলাবাগানের লেকসাকার্স এলাকার আবেদ ঢালী রোডের বাসা থেকে সুমনকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়।
সুমনের পরিবার জানায়, ডিবি পুলিশের সিরিয়াস ক্রাইম শাখার সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল পরিচয় দিয়ে তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তুলে নেয়ার পর তারা ডিবিতে গিয়ে জানতে পারেন এ নামে ডিবিতে এসি নেই। এ ঘটনায় তুলে নেয়ার ভিডিও ফুটেজসহ ৩১ জুলাই কলাবাগান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার পরিবার।
জেএ/এনডিএস/জেআইএম