চট্টগ্রামে স্কুলছাত্র হত্যায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
চার বছর আগে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে স্কুলছাত্র ফারহান সাকিবকে হত্যা করার দায়ে চার আসামির মধ্যে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে দুই আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালত এ রায় দেন।
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) একেএম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া তিন আসামি হলেন- কাজী সরওয়ার উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম, মীর হোসেন। তাদের মধ্যে কাজী সরওয়ার উদ্দিনকে অপর একটি ধারায় আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া শহিদুল ইসলাম ও মীর হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেয়া হয়েছে। আরেক আসামি হোসনে মোবারক রুবেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
নিহত ফারহান সাকিব জোরারগঞ্জ থানার উত্তর মোবারকঘোনা এলাকার মো. নাছির আহম্মদের ছেলে ছিল।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) একেএম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ২০১৫ সালের ৬ জুন পূর্বশত্রুতার জেরে জোরারগঞ্জ জেবি স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র ফারহান সাকিবকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বড় ভাই শহিদুল ইসলাম রুবেল বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে জোরারগঞ্জ থানায় মামলা করেন। গত চার বছর ধরে মামলার শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য শেষে ওই তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অপরাধের ধরণ ভিন্নতা আমলে নিয়ে শহিদুল ইসলাম ও মীর হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং কাজী সরওয়ার উদ্দিনকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ৬ জুন সাকিবকে অপহরণের পর জবাই করে হত্যার পর পাহাড় থেকে নিচে ফেলে দেয় চার আসামি। ছয় দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর ১১ জুন মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানায় সাকিবের বড় ভাই শহীদুল ইসলাম রুবেল বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। তবে এ হত্যাকাণ্ডের চার বছর পার হয়ে গেলেও এখনও ধরা পড়েননি প্রধান আসামি কাজী সরোয়ার উদ্দিন।
সাকিবের সহপাঠীদের সংগঠন ‘সাকিব স্মৃতিসংসদ’এর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল রাহাত আদালতের এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
আবু আজাদ/জেডএ/এমকেএইচ