ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী ছাড়া দেশে কোনো ভিআইপি নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৪৩ পিএম, ৩১ জুলাই ২০১৯

রাষ্ট্রপতি আর প্রধানমন্ত্রী ছাড়া দেশে কোনো ভিআইপি নেই বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। যুগ্ম সচিবের অপেক্ষায় মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে তিন ঘণ্টা দেরিতে ফেরি ছাড়ায় স্কুলছাত্র তিতাসের মৃত্যুর ঘটনায় করা রিটের শুনানিতে বুধবার এ মন্তব্য করেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট যুগ্ম সচিব ও ফেরির ম্যানেজারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে আদালত বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি আর প্রধানমন্ত্রী ছাড়া দেশে কোনো ভিআইপি নেই। বাকিরা সবাই প্রজাতন্ত্রের চাকর।’

যুগ্ম সচিবের ফোনে তার অপেক্ষায় মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে তিন ঘণ্টা দেরি করে ফেরি ছাড়ায় এসব মন্তব্য করেন হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) স্কুলছাত্র তিতাসের মৃত্যুর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট যুগ্ম সচিব ও ফেরির ম্যানেজারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়।

একই সঙ্গে রিটে তিতাসের মৃত্যুর ঘটনায় স্বতন্ত্র তদন্ত কমিটি গঠন, তিতাসের পরিবারকে তিন কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়। এ ছাড়া ফেরিঘাটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল নিশ্চিত করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।

মানবাধিকার সংগঠন লিগ্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড পিপলস রাইটসের চেয়ারম্যানের পক্ষে জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী জহির উদ্দিন লিমন এ রিট করেন। রিটে নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান, যুগ্ম সচিব আবদুস সবুর মণ্ডল, মাদারীপুরের ডিসি, পুলিশ সুপার, কাঁঠালবাড়ি ফেরি ঘাটের ব্যবস্থাপক সালাম হোসাইন মিয়া ও কাঁঠালবাড়ি থানার ওসিকে বিবাদী করা হয়।

দুর্ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়া নড়াইলের কালিয়া পৌর এলাকার একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তিতাস ঘোষকে (১১) নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স গত ২৫ জুলাই রাতে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ঘাটে ফেরিতে ওঠে। কিন্তু সরকারের এটুআই প্রকল্পের যুগ্ম সচিব সবুর মণ্ডলের গাড়ির জন্য তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর রাত ১১টার দিকে ফেরিটি শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। তার আগেই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা যায় তিতাস।

তিতাসের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএর কর্তাদের অনুরোধ করেও কোনো কাজ হয়নি। এমনকি সরকারি জরুরি সেবার হটলাইন ৯৯৯-এ ফোন করা হলেও ফেরি দ্রুত ছাড়তে কেউ কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

এফএইচ/এনডিএস/পিআর

আরও পড়ুন