ইংরেজি গ্রামার বইয়ের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে রুল
স্কুল-মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণি থেকে কলেজের স্নাতক পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) অনুমোদিত বিভিন্ন লেখকের ইংরেজি গ্রামারের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে হবে।
রুলে চতুর্থ শ্রেণি থেকে স্নাতক পর্যন্ত চৌধুরী অ্যান্ড হোসাইন, বাবুল চন্দ্র শীল, প্রফেসর এফ এম আব্দুল রব, সায়মা প্রসাদ ঘোষ, ফিরোজ মুকুল, সাইফুর রহমান খানের লেখা ইংরেজি গ্রামার কেন অশুদ্ধ, অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং এসব লেখকের ইংরেজি গ্রামার বইয়ের প্রকাশনা, বিপণন বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না -তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
এ বিষয়ে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক, পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান ও শিক্ষক চৌধুরী অ্যান্ড হোসাইনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিভিন্ন লেখকের ইংরেজি গ্রামারের ভুল অধ্যায়গুলো সংযুক্ত করে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৯ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন মো. মোজাম্মেল হক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ ও আইনজীবী সাকিব মাবুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
রিটকারী পক্ষের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, চতুর্থ শ্রেণি থেকে স্নাতক পর্যন্ত এনসিটিবি অনুমোদিত যেসব ইংরেজি গ্রামার বই আছে, তার প্রায় সবগুলোতেই ব্যাকরণগত নানা ভুল রয়েছে। এসব গ্রামার বইয়ের প্রত্যেকটিতেই ‘নাউন কে প্রোনাউন’ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১২ বছর ধরে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের এভাবে ভুল ইংরেজি শেখানো হচ্ছে। এতে শিক্ষারথীর ইংরেজির ভীত দুর্বল হয়ে গড়ে উঠছে। ইংরেজি মাতৃভাষা না হলেও আন্তর্জাতিক ভাষা। ইংরেজি যাদের মাতৃভাষা তারা কিন্তু ব্যাকরণগত কোনো পরিবর্তন, পরিমর্জন আনেনি। আমাদের দেশে ইংরেজি গ্রামারের লেখকরা ভুলভাবে নানা পরিবর্তন, পরিমর্জন, সংশোধন এনেছেন। ইংরেজি শিক্ষার্থীদের জন্য সহজভাবে শেখার সহজ পদ্ধতি ভুলভাবে প্রবর্তন করেছেন।
আবেদনকারীর বক্তব্য, ১২৫টিরও বেশি শব্দ আছে যেগুলো নিয়মের সাথে যাচ্ছে না। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, Open-এর সাথে ing যোগ করে আমরা লিখছি Opning। কিন্তু আমরা যদি ওই ফর্মুলায় লিখতে যাই তাহলে লিখতে হবে Openning। কিন্তু এ বানানটি তো ভুল। ঠিক এমনিভাবে Develop, Visit, Answer, Suffer, Listen এর মত ১২৫টিরও বেশি শব্দ ভুল লিখতে হবে। এছাড়াও ‘Verb’ সাথে থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার বুঝাতে ‘s’ বা ‘es’ বা ‘ies’ কীভাবে যোগ করতে হবে, তা বলা হয়নি। এ রকম অসংখ্য অসঙ্গতি, ভুল রয়েছে।
এফএইচ/আরএস/জেআইএম
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ চাঁদাবাজির সত্যতা মেলেনি: তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ
- ২ শিবিরের ৪ নেতাকে হাত ও চোখ বেঁধে গুলি করে পঙ্গু করা হয়
- ৩ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- ৪ সমাজসেবা অধিদপ্তরের ডিজিকে সরিয়ে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
- ৫ যুবদল নেতা হত্যা: রিমান্ড শেষে কারাগারে সাংবাদিক শেখ জামাল