জিন তাড়ানোর নামে নারী-শিশু ধর্ষণ : ইমাম কারাগারে
ঝাড়ফুঁক ও জিনের ভয় দেখিয়ে নারী-শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার মসজিদের ইমাম ইদ্রিস আহাম্মেদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একদিনের রিমান্ড শেষে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আবারো ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব রিমান্ড নামঞ্জু করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে সোমবার (২৩ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদ উর রহমান একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২১ জুলাই মধ্যরাতে র্যাব-১ এর একটি দল রাজধানীর দক্ষিণখান থানার অধীন সৈয়দনগর এলাকা থেকে ইদ্রিস আহাম্মেদকে গ্রেফতার করে।
ইদ্রিস আহাম্মেদ ইমামতির পাশাপাশি স্থানীয় একটি মাদরাসার শিক্ষকও। ১৮ বছর ধরে স্থানীয় অনেকের অসুস্থতায় তিনি ঝাড়ফুঁক ও তাবিজ দিতেন। ঝাড়ফুঁক নেয়াদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই ছিল বেশি। বিশ্বস্ততার সুযোগ নিয়ে ঝাড়ফুঁক ও জিনের ভয় দেখিয়ে সুন্দরী মেয়েদের জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছিলেন তিনি। বাদ যায়নি মাদরাসা ও মসজিদে আসা শিশুরাও।
সম্প্রতি এক ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে দীর্ঘসময় তদন্ত করে প্রমাণ পাওয়ার পর ২১ জুলাই মধ্যরাতে র্যাব-১ এর একটি দল রাজধানীর দক্ষিণখান থানার সৈয়দনগর এলাকা থেকে ইদ্রিস আহাম্মেদকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার মোবাইলফোন জব্দ করা হয়। ওই মোবাইলফোনে ধর্ষণ ও বলাৎকারের অনেক ভিডিও ও ছবি পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।
তিনি বলেন, দক্ষিণখানের স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি ও মাদরাসায় শিক্ষকতা এবং দীর্ঘদিন দক্ষিণখান এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিশেষ প্রভাব বলয় তৈরি করেন ইদ্রিস আহাম্মেদ। প্রভাবকে পুঁজি করে দীর্ঘদিন ধরে কৌশলে ধর্ষণ ও বলাৎকারের মতো জঘন্য অপরাধ সংঘটিত করে আসছিলেন তিনি।
এ ব্যাপারে সম্প্রতি ভুক্তভোগী এক নারীর অভিযোগ আমলে নিয়ে ছায়াতদন্ত এবং গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র্যাব-১। অনুসন্ধানের পর উঠে আসে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য।
জেএ/এসআর/এমকেএইচ