বিআইডব্লিউটিএর সাবেক কর্মকর্তার সাত বছরের জেল
বিআইডব্লিউটিএর কর্মচারী ভবিষ্যৎ তহবিল থেকে ২০ কোটি টাকা আত্মসাত করায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সহকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম খানকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুদকের এই মামলায় একইসঙ্গে ৪১ কোটি ১৯ লাখ ৭ হাজার ৩২ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে তার স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি সরকারের অনূকুলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ -১০ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার আগে আব্দুস সালাম আদালতে উপস্থিত হন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
অপরদিকে দণ্ডিত আব্দুস সালামের স্ত্রী শাহনাজ পারভীন লাভলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ার তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কোর্ট পরিদর্শক আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১০ সালের ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মচারী ভবিষ্যৎ তহবিলের ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ১৫ হাজার ১১৬ টাকা ১৭ পয়সা ইচ্ছাকৃতভাবে বিআইডব্লিউটিএর কর্মচারী দলীয় বীমা ট্রাস্টি বোর্ডের পুরান পল্টন শাখার জনতা ব্যাংকে জমা দেন। এরপর তিনি প্রতারণামূলকভাবে ৬৫২টি চেক ব্যবহারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করেন। পরে ২০ কোটি ৫৯ লাখ ৫৩ হাজার ৫১৬ টাকা ৬ পয়সা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় দুদকের উপ-পরিচালক মো. বেনজীর আহমেদ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ধারায় ওই মামলা করেন। ২০১২ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলায় ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
জেএ/জেডএ/জেআইএম