চার প্রতিষ্ঠানকে বাজারের পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষার নির্দেশ
বিএসটিআই অনুমোদিত বাজারে থাকা বিভিন্ন কোম্পানির পাস্তুরিত (প্যাকেটজাত) সব দুধের নমুনা সংগ্রহ করে অ্যান্টিবায়োটিকসহ ক্ষতিকর কোনো উপাদান আছে কি না -তা চার প্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে বিএসটিআইকে বাজার থেকে দুধের নমুনা সংগ্রহ করতে বলেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানিতে দুধে ডিটারজেন ও অ্যান্টিবায়োটিক, কেমিক্যাল এবং ব্যাকটেরিয়ার পাশাপাশি অন্য কোনো ক্ষতিকর উপাদান আছে কি না সে বিষয় চার প্রতিষ্ঠান পরীক্ষা করবে।
প্রতিষ্ঠান চারটি হলো- আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), লাইভ স্টক অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) ও ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি (নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ)।
পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন পাওয়া পাস্তুরিত দুধ পৃথক চারটি সংস্থার ল্যাবে পরীক্ষা করে ওই সব প্রতিষ্ঠানের একজন করে প্রতিনিধির উপস্থিতিতে পৃথক পৃথক ভাবে এর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এ রিটে মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়কে বিবাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধির পাশাপাশি ওই চার কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে দুধের নমুনা সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
বিএসটিআই অনুমোদিত পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক, ডিটারজেন, ফরমালিন, ব্যাকটেরিয়া, কলিফর্ম, অ্যাসিডিটি, স্টাইফলোকাস্টেস ও ফরমালিন আছে কি না -তা পরীক্ষা করে চারটি গবেষণাগারকে এক সপ্তাহের মধ্যে আলাদাভাবে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ দুধের ডিটারজেন ও অ্যান্টিবায়োটিক পরীক্ষার সক্ষমতা অর্জন করার জন্য কী কী প্রয়োজন এবং কী পরিমাণ জনবল দরকার তাও প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২৩ জুলাই পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের দুই দফা গবেষণায় বিভিন্ন কোম্পানির দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ধরা পড়ার প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (১৪ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
এফএইচ/আরএস/এমকেএইচ/এমএস