দেবেশ চন্দ্র ছিলেন জুডিশিয়াল একটিভিস্ট
বিচারপতি দেবেস চন্দ্র ভট্টাচাযকে জুডিশিয়াল একটিভিস্ট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিচারপতি দেবেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন পরিষদ আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিচারপতি দেবেশ চন্দ্র সেসব বিচারকদের থেকে ব্যতিক্রমী ছিলেন যারা মনে করেন সিআরপিসি ও দেওয়ানী আইনের বাইরে আর কোন আইন নেই। তিনি আসলেই ছিলেন একজন জুডিশিয়াল একটিভিস্ট। তিনি ছিলেন একজন বিশ্বমানের আইনবিদ ও বিচারক। তার সঙ্গে লর্ড ডেনিংয়ের তুলনা করা যায়। মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন প্রগতিশীল। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার বক্তৃতায় বলেন, বিচারপতি দেবেশ চন্দ্র ভট্টাচার ছিলেন আইনের ওপর দার্শনিক।
তিনি যেমন দেওয়ানি আইনে পণ্ডিত ছিলেন। তেমনি ফৌজদারি আইনের ক্ষেত্রেও সমান দক্ষতা ছিলো তার। এ কারণে তিনি তার প্রত্যেকটি রায়ে সংশ্লিষ্ট আইনের দর্শন কি ছিলো তা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেছেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আপিল বিভাগের বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম।
তার জীবনী সংক্ষিপ্ত পাঠ করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ড.মোস্তাফিজুর রহমান।
সভায় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, জ্যেষ্ঠ আইনজীবীসিহ বিচারপতি দেবেশ চন্দ্রের ছেলে অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯১৪ সালের ৩ নভেম্বর টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি দেবেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য । ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর অনুরোধের হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন । তিন বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন। ১৯৭৭ সালে অবসর নেন। ২০০৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি মারা যান তিনি।
এফএইচ/এএইচ/পিআর