সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে হলি আর্টিসানের রায় : আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, হলি আর্টিসানের সেই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর এ মামলার বিচারকাজ ও তদন্ত দ্রুত করার চেষ্টা করা হয়েছে। সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রায় দেয়া হবে।
সোমবার দুপুরে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ১৪২তম রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
হলি আর্টিসানের মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী এই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। হলি আর্টিসানের ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন আমি তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।’
তিনি বলেন, আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এটা (হলি আর্টিসান) নিতান্তই একটা আইসোলেটেড (বিচ্ছিন্ন) ঘটনা। সেদিন সেই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে এ মামলার বিচারকাজ ও তদন্ত দ্রুত করার চেষ্টা করা হয়েছে। সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে রায় হবে।
হলি আর্টিসানের মামলা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি মনে করি যখন বিচারকাজ চলছে, বিজ্ঞ আদালত দেখবেন কতজন সাক্ষী নিলে এই মামলা প্রমাণে যথেষ্ট হবে। এ মামলা দ্রুত শেষ করতে প্রসিকিউটরের ইচ্ছা আদালতও হয়তো অনুধাবন করবেন। এ মামলা নিয়ে অন্য কিছু বলতে চাই না। তাহলে আবার বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলা হয়ে যাবে। তবুও আমি শুধু এই টুকু বলব যে, সরকার এই বিষয়গুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখে। সেজন্য শুধু যে হলি আর্টিসানের মামলা হচ্ছে তা না, রমিজ উদ্দিনের দুই ছাত্র হত্যার মামলা, (মাদরাসাছাত্রী) নুসরাত হত্যার মামলা চলছে। এসব ঘটনা বিচারের বাইরে যেন না চলে যায় বা ঘটনাগুলো যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের মনে আছে, সেই সময়ের মধ্যেই এদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা যাতে দেয়া যায় সেদিকে নজর রাখি।’
নতুন করে অ্যাটর্নি জেনারেলদের নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিগগিরই রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তা হিসেবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলদের নিয়োগ দেয়া হবে। এক্ষেত্রে নতুনদের বেশি প্রাধান্য দেয়া হবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যারা দীর্ঘদিন ধরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছেন আমি তাদের পদত্যাগ করতে বলেছি। তার কারণ হলো প্রধানমন্ত্রী চান সকল ক্ষেত্রে নতুন মুখ এবং নতুনদের সুযোগ দেয়া হোক। সেই ব্যবস্থা করতে, ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় আমি তাদের পদত্যাগপত্র চেয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এখন পর্যন্ত ৮৭ জনের পদত্যাগপত্র পৌঁছে দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। যারা পদত্যাগ করেননি, ২০০৭ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত যারা আছেন, তাদের মধ্য থেকে দু-চারজন যদি যোগ্যতায় টিকে যান, টিকে যাবেন। তাছাড়া নতুন করে শিগগিরই নিয়োগ দেয়া হবে।’
প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক বিচারপতি খন্দকার মুসা খালেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক।
এফএইচ/এসআর/এমএস