ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

ব্যাংক ঋণের কমিশন গঠনে রিট, কোর্টের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:০৪ পিএম, ২৭ জুন ২০১৯

ঋণ প্রদান ও ফেরত দেয়ার কমিশন গঠনের বিষয়ে করা মামলাটি হাইকোর্টের যে বেঞ্চে শুনানি চলছে সেই কোর্টের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী মুনীরুজ্জামান। তাকে এ বিষয়ে লিখিত আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালত আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এ বিষয়ে লিখিত আবেদন জমা দেয়ার জন্য বলেছেন। হাইকোর্ট এ বিষয়ে ১ জুলাই শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন। জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান নিজে।

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, আজ ব্যাংক ঋণের বিষয়ে কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানির সময় আদালতে মৌখিক প্রার্থনায় বলেছি, ব্যাংকের ঋণের বিষয়ে যে কোনো নীতিমালার মামলা শুনানির এখতিয়ার অত্র কোর্টের আছে কি না? তখন আদালত বলেছেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত আবেদন করার জন্য। আর সেটি মূল রিট মামলার শুনারি আগেই আগামী সোমবার নিষ্পত্তি করা হবে।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে ঋণখেলাপির তালিকা দাখিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে, রুল জারি করেন। রুলে আর্থিক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা বন্ধে কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং এ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের দুই সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এ আদেশের পরও ২১ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণের কিস্তি পরিশোধের জন্য সময় বাড়িয়ে ঋণগ্রহীতাদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। ঋণ পরিশোধের সময় আগের আইনের চেয়ে দ্বিগুণ করে দেয়া হয়। যা আগামী ৩০ জুন থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

ওই প্রজ্ঞাপনের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে বুধবার হাইকোর্টে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। বৃহস্পতিবার এ আবেদনের ওপর আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী মৌখিকভাবে আদালতকে বলেন, ব্যাংকিং বিষয়ে মামলার বিচারের এখতিয়ার এ আদালতের নেই।

এফএইচ/এমএআর/এমকেএইচ

আরও পড়ুন