ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

আটকে গেল রানার জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৫৬ পিএম, ২০ জুন ২০১৯

টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ ১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। বহুল আলোচিত যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় গতকাল রানার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেছিলেন হাইকোর্ট।

রানার জামিন ঠেকাতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন বিচারপতি নুরুজ্জামানের চেম্বার জজ আদালত। আজকের আদেশে বলা হয়েছে, আগামী ১ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ততদিন তার জামিন স্থগিত থাকবে।

আজ আমানুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট রুশো মোস্তাফা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় রানাকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে গত ৬ মার্চ রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ওই জামিন স্থগিত করে হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার (১৯ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেছিলেন।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে। ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরণ মিয়া হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তারা সাংসদ আমানুরের দিকনির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেন। আমানুর রহমান খান রানা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলারও আসামি।

এফএইচ/এনএফ/জেআইএম

আরও পড়ুন