ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

৩ দিনের রিমান্ডে জামায়াত নেতা-কর্মীরা

প্রকাশিত: ১২:৩৩ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

জায়ামাতের দুই সাবেক সাংসদসহ ১৩ নেতা-কর্মীকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি পুলিশ। মঙ্গলবার বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফর রহমান শিশির শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জামায়াত নেতারা হলেন; জামায়াতের নায়েবে আমির ও রাজশাহী-২ আসনের সাবেক সাংসদ মজিবুর রহমান, খুলনা-৫ আসনের সাবেক সাংসদ ও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, জামায়াতের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ ও কাফরুল থানা জামায়াতের আমির তসলিম লস্কর। কর্মীরা হলেন; জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কালাম আজাদ, মনসুর রহমান, জাকির  হোসাইন, আশরাফুল আলম ইকবাল, এবিএম নুরুল্লাহ ওরফে মোহাম্মদ উল্লাহ, আবুল হাসেম, মোহাম্মদ সাব্বির ও মজিবুর রহমান ভূঁইয়া।

এদিন ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মোহাম্মাদ হাফিজুর রহমান এ আসামিদের ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

পুলিশ জানায়, রাজধানীর পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১০ নম্বর সড়কের ১১ নম্বর লাইনের একটি বাসার তৃতীয় তলায় থাকেন জামায়াত নেতা হারুন অর রশিদ। তার বাসায় জামায়াত নেতা-কর্মীদের একটি গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর সেখানে অভিযান চালিয়ে লম্বাকৃতির ২০টি বোমা, লাঠি, পাইপ, চাঁদা আদায়ের রসিদসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

জামায়াতের সাবেক সাংসদ মজিবুর রহমান ৪৫টি, মিয়া গোলাম পরোয়ার ১২টি ও তসলিম লস্কর নাশকতা নয়টি পুরোনো মামলার আসামি।

পুলিশের আরো জানায়, কোরবানি ঈদের আগে বেতন-বোনাস পরিশোধ করা হবে না, পোশাক শ্রমিকদের এলাকায় এমন গুজব ছড়িয়ে শ্রমিকদের ক্ষেপিয়ে তুলে শ্রমিক অসন্তোষ তৈরি করে সেই অস্থিরতার মধ্যে নাশকতার ছক আঁকছিলেন তারা।

এর আগে ২০১১ সালের ২৮ অক্টোবর মিরপুর থেকে মজিবুর রহমান গ্রেফতার হয়েছিলেন। এরপর চারবার জামিন পেয়ে আবার কারা ফটক থেকে গ্রেফতার  হন তিনি। পরে ২০১৩ সালের আগস্টে জামিনে মুক্তি পান।

এসএইচএস/আরআইপি