নোয়াখালী সদরের উপজেলা চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী
নোয়াখালী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএইচ শওকত রেজা চৌধুরীর প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে এখন তার প্রার্থীতা টিকলো না এবং নির্বাচন করার কোনো সক্ষমতা রইলো না।
সেই সঙ্গে ওই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সরকার দলীয় (নৌকা প্রতীক) একেএম সামছুদ্দিন জেহানের পদের গেজেট প্রকাশে আর কোনো বাধা নেই।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার। তার সঙ্গে ছিলেন মো. সিরাজুল আলম ভুইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মুরাদ রেজা ও ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও প্রতিকার চাকমা।
আগামী ১৮ জুন এই উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন ধার্য রয়েছে। রিট আবেদনকারীসহ তিন জন প্রার্থী ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে। এর মধ্যে রিটানিং অফিসার দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করেন। তারা হলেন- একেএম সামছুদ্দিন জেহান (আওয়ামী লীগ) ও বোরহান উদ্দিন আহমেদ (জাতীয় পার্টি)।
আর স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএইচ শওকত রেজা চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। ২৮ হাজার ৪৩৫ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় পল্লী বিদ্যুতের করা মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে গত ২৩ মে তার প্রার্থীতা বাতিল করেন রিটানিং কর্মকর্তা।
বৈধ দুই প্রার্থীর মধ্যে বোরহান উদ্দিন আহমেদ ২৯ মে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। ফলে গত ৩০ মে একেএম সামছুদ্দিন জেহান একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এর পর প্রার্থীতা ফিরে পেতে ২৯ মে নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে শওকত রেজা চৌধুরীর আপিল খারিজ হয়। সেখানে ব্যর্থ হয়ে তিনি প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার জন্য রিট আবেদন করেন। ওই রিটের শুনানিতে আজ রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। ফলে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ থাকল না।
এফএইচ/এমএসএইচ/পিআর