আইসিইউ স্থাপনে ৫৩ লাখ, সিসিইউতে লাগবে ২৩ লাখ টাকা
সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে ৩৪০টি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৫৭৩টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) আছে ৩৪৪টি।
মঙ্গলবার (২১ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাখিল করা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জেলা সদরে প্রতিটি আইসিইউ বেড স্থাপনের জন্য গড়ে ৫৩ লাখ টাকা খরচ হবে এবং প্রতিটি সিসিইউ বেড স্থাপনের জন্য গড়ে প্রায় ২৩ লাখ টাকা প্রয়োজন হতে পারে।
এর আগে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালতে আজ (মঙ্গলবার) রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের সব স্থান থেকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ শেষ হলে পরবর্তীতে হালনাগাদ পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রদান সম্ভব হবে।
প্রতিবেদনে প্রতিটি আইসিইউ ও সিসিইউ বেড স্থাপনের জন্য কত জনবল প্রয়োজন তার একটি পূর্ণাঙ্গ বিবরণও দেয়া হয়েছে। পরে রিটকারী আইনজীবী ড. বশির আহমেদ বলেন, প্রতিবেদন সিসিইউয়ের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দাখিল করা হয়নি। আদালত পূর্ণাঙ্গ তালিকা দাখিল করতে বলেছেন। অবকাশকালীন ছুটির পর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।
এর আগে গত ৭ মার্চ সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি হাপতালগুলোতে কতগুলো আইসিইউ, সিসিইউ রয়েছে তার সংখ্যা নিরূপণ করে তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে একটি আইসিইউ-সিসিইউ ইউনিট স্থাপন করতে কী পরিমাণ টাকা, কত জনবল ও কতজন বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন হয় সে বিষয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে বলা হয়।
এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাখিল করা প্রতিবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশের সব বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকা নির্ধারণ এবং আইন অনুসারে তালিকা প্রদর্শনের নির্দেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরর যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বাধীন এ-সংক্রান্ত কমিটিকে ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
২০১৮ সালের ২৪ জুলাই দেশের সব বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকা আইন অনুসারে প্রদর্শনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে ওই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
পাশাপাশি দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অধ্যাদেশ-১৯৮২ অনুসারে নীতিমালা তৈরি এবং বাস্তবায়নের জন্য ৬০ দিনের মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এসব আদেশ দেন।
এফএইচ/এমএমজেড/এমকেএইচ