আদেশ জালিয়াতি করে ইটভাটা চালানো : সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ
আদালতের আদেশ জালিয়াতি করে দিনাজপুরের ৩১ ইটভাটার কার্যক্রম চালানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। নির্দেশনায় ইটভাটা চালানোর হাইকোর্টের জাল আদেশের বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য দিনাজপুরের পুলিশ সুপারের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে জালিয়াতির আদেশের বিষয়টি তদন্ত করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। এ-সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি করে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আল আমিন সরকার, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম। ইটাভাটা মালিকদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম বলেন, আদালতের তলবে ৩১ ইটভাটার মালিক আদালতে হাজির হয়েছিলেন। পরে শুনানি শেষে ইটভাটা চালাতে হাইকোর্টের জাল আদেশের বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য দিনাজপুরের পুলিশ সুপারের প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি জাল আদেশের ঘটনাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেয়া হয়।
‘দিনাজপুরে ইটভাটা চালাতে হাইকোর্টের জাল আদেশ’ শিরোনামে গত ২৩ এপিল একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর ২৮ এপ্রিল দিনাজপুর জেলা প্রশাসক হাইকোর্টে দুটি আবেদন করেন। আবেদনে অবস্থান ব্যাখ্যা করতে ইটভাটার মালিকদের আদালতে হাজির হতে এবং হাইকোর্টের আদেশ বিষয়ে জাল নথি তৈরি করায় ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।
এর শুনানি নিয়ে ৩১ ইটাভাটার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গত ১৬ মে তাদের হাজিরের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশের কপি তাদের কাছে পৌঁছায়নি বলে সোমবার আবারও দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। এ দিন ৩১ ইটভাটার মালিক আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন। এরপর আদালত এই আদেশ দেন।
এফএইচ/বিএ