ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

আবরার হত্যায় আরও অনেকে জড়িত, অধিকতর তদন্তে ডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৪৯ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হওয়ার ঘটনায় করা হত্যা মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য অনুমতি পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অধিকতর তদন্তের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম। ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী ডিবি পুলিশের আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

আবেদনে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হওয়া ও পথচারী সিমথিয়া সুলতানা মুক্তা আহত হওয়ার ঘটনায় সু-প্রভাত বাসের মালিক-চালকসহ চারজনের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জামা দিয়েছি।

মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিলের পরে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে আরও আসামি জড়িত আছে। তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দেন। সে মতে ন্যায়বিচারের স্বার্থে অধিকতর তদন্ত করা প্রয়োজন। তাই মামলাটি অধিক তদন্তের অনুমতিসহ মামলার কেসডকেট পাঠানোর জন্য সদস্য আদেশদানে মর্জি হয়।

এর আগে ২৫ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে পৃথক দুটি চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম। দুই চার্জশিটে সাক্ষী করা হয়েছে ৩২ জনকে।

আবরার নিহত হওয়ার ঘটনায় বাসের কন্ডাক্টর ইয়াছির আরাফাত ও মালিক ননী গোপাল সরকারের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ২৭৯/৩০৪/১০৯ ধারায় চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা। অপরদিকে ঘটনায় জড়িত থাকার কোনো তথ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় বাসের চালক সিরাজুল ইসলাম ও তার সহকারী ইব্রাহিম হোসেনকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এ ছাড়া পথচারী সিমথিয়া সুলতানা মুক্তাকে আহত করায় বাসের চালক সিরাজুল ইসলাম, তার সহকারী ইব্রাহিম হোসেন, কন্ডাক্টর ইয়াছির আরাফাত ও মালিক ননী গোপাল সরকারের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ২৭৯/৩৩৮-ক/১০৯ ধারায় আরেকটি চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এ মামলায় বাসচালক সিরাজুল ইসলাম, সহকারী ইব্রাহিম হোসেন, কন্ডাক্টর ইয়াছির আরাফাত ও মালিক ননী গোপাল সরকার কারাগারে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

১৯ মার্চ সকাল ৭টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন প্রগতি সরণি এলাকায় সু-প্রভাত (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫) বাসের চাপায় বিইউপির শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হন।

সেদিন রাতেই আবরারের বাবা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আরিফ আহাম্মেদ চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় বাসের চালক সিরাজুল ইসলাম, হেলপার ইব্রাহিম হোসেন, কন্ডাক্টর ইয়াছির আরাফাত ও মালিক ননী গোপাল সরকারকে। মামলার ধারা পেনাল কোডের ২৭৯/ ৩৩৮ (ক)/৩০৪/ ও ১০৯ । মামলা নং ৩০।

মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, ‘বাসটির চালক বেপরোয়া ও দ্রুতগতিতে বাড্ডার দিক থেকে প্রগতি সরণি রোড দিয়ে কুড়িলের দিকে যাওয়ার পথে গুলশান থানাধীন শাহাজাদপুরের বাঁশতলায় পথচারী সিমথিয়া সুলতানা মুক্তাকে (২০) চাপা দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আবারও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে গুলশান থানাধীন প্রগতি সরণিতে জেব্রা ক্রসিং পার হওয়ার সময় আমার ছেলে আবরারকে চাপা দেয়। এ সময় বাস তার মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। ফলে তার মাথা থেঁতলে মগজ বের হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে সে মারা যায়।’

জেএ/জেডএ/পিআর

আরও পড়ুন