জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন : দুই শিক্ষকের আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ
জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দুই শিক্ষককে অধ্যাপক নিয়োগের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে করা আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘিত হবে দাবি করে হাইকোর্টে আবেদনকারী দুই শিক্ষক- বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার ও রেজাউল করিম তালুকদার।
এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাইফুদ্দিন খালেদ ও মনিরুজ্জামান রানা। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০৪তম সিন্ডিকেট সভায় ড. হিমেল বরকত ও ড. ফারহানা আখতারকে অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয় এবং ২০১৮ সালের ৪ জুন থেকে এ নিয়োগের কার্যকারিতা ধরা হয়। কিন্তু সিন্ডিকেটের ওই সিদ্ধান্তের ফলে অধ্যাপক নিয়োগে জ্যেষ্ঠতার লঙ্ঘন ও আইনের ব্যত্যয় ঘটার ব্যাখ্যা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেটের সচিব বরাবর একটি আবেদন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. নাজমুল হাসান তালুকদার ও প্রফেসর ড. রেজাউল করিম তালুকদার গত ৩০ জানুয়ারি এ আবেদন করেন।
তবে, সে আবেদনের কোনো সাড়া না পেয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সভাপতি ও উপাচার্য বরাবর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আরেকটি আবেদন করা হয়। তবে এরপরও ওই আবেদনের কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
পাশাপাশি আবেদনটির নিষ্পত্তির বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে প্রফেসর ড. নাজমুল হাসান তালুকদার ও প্রফেসর ড. রেজাউল করিম তালুকদার হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০৪তম সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাপক নিয়োগে গৃহীত সিদ্ধান্ত (যা ভুতাপেক্ষ কার্যকরী হবে ২০১৮ সালের ৪ জুন থেকে) কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
কিন্তু সে রুলের জবাব না পেয়ে মঙ্গলবার পুনরায় হাইকোর্টে আরেকটি আবেদন করা হয়। সে আবেদনের শুনানি শেষে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সভাপতি ও উপাচার্য বরাবর করা রিটকারীদের আবেদন ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এফএইচ/জেএইচ/এমএস
