অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে কেন যথাযথ ব্যবস্থা নয় : হাইকোর্ট
দেশের সব শহরে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে এবং শহরাঞ্চলের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, অননুমোদিত স্থাপনা বা ভবন, গুদাম, শিল্প কারখানার বিষয়ে একটি পরিকল্পিত ও যথাযথ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জারি করা অপর রুলে কারখানাসহ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে অগ্নিকাণ্ডে মানুষের প্রাণহানির ঘটনা প্রতিরোধে বিদ্যমান সব আইন, নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ ও বাস্তবায়নে বিবাদীদের প্রতি কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন অ্যাডভোকেট সাগুফতা তাবাসুসম আহমেদ।
পুরান ঢাকার চকবাজারের চুরিহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্নার করা সম্পূরক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল ইসলাম। অন্যদিকে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাগুফতা তাবাসুসম আহমেদ।
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চারটি রিট আবেদনের ওপর শুনানিকালে হাইকোর্ট নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে একলাখ টাকা করে দেয়া অর্থ অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আপত্তি জানান। এরপর আদালত বলেন, আশা করি মানবিক দিক বিবেচনা করে আদালতের অভিপ্রায় সংশ্লিষ্টদের অবহিত করবেন আপনি। এ বিষয়ে আমাদের যেন আদেশ দেয়ার প্রয়োজন না পড়ে।’
এ অবস্থায় আজ আদালতে জেড আই খান পান্না বলেন, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি ঠিকমতো ঢুকতে পারে না। চুড়িহাট্টার ঘটনার পর আমরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট আবেদন করেছিলাম। আরও কিছু নির্দেশনা চেয়েছিলাম। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেলের আপত্তির কারণে আদেশ দিলেন না। কিন্তু এখনও ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পাননি। তারা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন।’
এ সময় আদালত সংশ্লিষ্টদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আদালত বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ছাড়াও গণপূর্তমন্ত্রীও পদক্ষেপ নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন। আমরা এসব পদক্ষেপে আশাবাদী হতে চাই। তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে আমাদের আর আদেশ দেয়ার প্রয়োজন হবে না।’
গত ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের আগুনের ঘটনায় ৭১ জন মারা যান। এর সূত্র ধরে শিল্পকারখানার জন্য নিরাপদ অঞ্চল গড়তে নীতি প্রণয়নে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না ২৫ ফেব্রুয়ারি রিটটি করেন। এরপর অগ্নিদুর্ঘটনা এড়াতে ঢাকা সিটি করপোরেশনসহ সব সিটি করপোরেশন অধ্যাদেশ, নগর উন্নয়ন আইন, ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড এবং অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইনসহ সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিবিধান প্রয়োগে নির্দেশনা চেয়ে সম্পূরক আবেদনটি করেন রিটকারী।
এফএইচ/ এনডিএস/