কিরণের বিদেশ যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যনির্বাহী সদস্য ও নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণের মামলা চলাকালে তিনি যেন বিদেশ যেতে না পারেন- এর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে এ আবেদন করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করার অভিযোগে গত ১২ মার্চ কিরণের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন প্রিন্স। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ আবেদন করলেন তিনি।
মামলাটির ধার্য তারিখ ছিল আজ। কিরণ আদালতে উপস্থিত হননি। কিরণের আইনজীবী তার জামিন বৃদ্ধি চেয়ে একটি আবেদন করেন। অপরদিকে কিরণের জামিন বাতিল চেয়েও আবেদন করেন বাদীর আইনজীবী ব্যারিস্টার রেফায়েতুল করিম লেলিন।
আবেদনগুলোর ওপর শুনানির জন্য আগামী ১৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত। আদালতের পেশকার পারভেজ আহেম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১৬ মার্চ কিরণের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান। ১৯ মার্চ ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী।
গত ১২ মার্চ মামলা আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী। গ্রেফতার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ‘গত ৮ মার্চ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হীন মানসিকতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, বাংলাদেশ ফুটবল সংগঠকদের মানহানির উদ্দেশ্যে মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, পিএম হিসেবে সব খেলাই তার কাছে সমান। সেখানে কেন দু’চোখে দেখবে? মেয়েরা ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন। গিফট তো পরের কথা, অভিনন্দন তো দিতে পারে, মিডিয়ায় কি কোনো অভিনন্দন জানাইছে? বিএফএফের টাকা কেন প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে দেয়াব? বিসিবির অনেক স্বার্থ আছে। বিসিবি সরকারের অনেক ফ্যাসিলিটিজ নেয়। চুন থেকে পান খসলেই প্লট পেয়ে যায়, গাড়ি পেয়ে যায়। বিএফএফ সরকারের কাছ থেকে কোনো ফ্যাসিলিটিজ নেয় না।’
কিরণের এমন বক্তব্য বেসরকারি টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত হয়। তার এমন বক্তব্যে বাদীর ৫০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে মর্মে আদালতে মামলাটি করা হয়।
জেএ/জেডএ/পিআর