সু-প্রভাত চালক ৭ দিনের রিমান্ডে
যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়া সু-প্রভাত বাসের চালক সিরাজুল ইসলামের (২৪) বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গুলশান থানার ওসি (অপারেশন) আমিনুল ইসলাম বুধবার বেলা পৌনে ৩টার পর তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
আদালত শুনানি শেষে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গুলশান থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, চালক সিরাজুল ইসলামের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না। হালকা যান চালানোর লাইসেন্স নিয়ে তিনি বাসের মতো ভারী যান চালাচ্ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন প্রগতি সরণি এলাকায় সু-প্রভাত (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫) বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হন। পরে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা আট দফা দাবি ঘোষণা করেন। বুধবার (২০ মার্চ) সকাল থেকেও রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যান।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বসুন্ধরা গেট এলাকার সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে সেখানে যান মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ও বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল এমদাদ-উল বারী।
এ সময় মেয়র আতিকুল বলেন, ‘চালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না। যে ড্রাইভার সু-প্রভাত পরিবহনের বাসটি চালাচ্ছিলেন, তার হালকা যান চলাচলের লাইসেন্স ছিল। এটি নিয়ে তিনি বাসের মতো ভারী যান চালাচ্ছিলেন। এটা কীভাবে সম্ভব! তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আইন অনুযায়ী দ্রুত তার শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘সু-প্রভাত পরিবহনের সব বাসের সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।’
তবে শিক্ষার্থীরা তাদের কথায় আশ্বস্ত না হয়ে দাবি আদায়ে কর্মসূচি চালিয়ে যান।
জেএ/এমএআর/এমএস