ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

দুর্নীতি মামলায় পুলিশ সার্জেন্টের সাত বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৪২ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৯

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় পুলিশ সার্জেন্ট মো. আজাহার আলীকে সাত বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও তার ৭৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩২৯ টাকার অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ কামাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

দুদক আইনের দুই ধারায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় ২ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া ২৭ (১) ধারায় ৫ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। উভয় দণ্ড এক সঙ্গে কার্যকর হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

রায়ে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ হওয়া সম্পদের মধ্যে রয়েছে আজহার আলীর রাজধানীর গুলশান-১ এর ৩৩ নং রোডের ৬ নং প্লটের একটি ফ্ল্যাটের তৎকালীন ক্রয়মূল্য ৩৪ লাখ টাকা নির্ধারণপূর্বক তার মধ্যে অবৈধ ১৪ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৭ টাকা, গ্রিন রোডস্থ বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ১ কোটি ২২ লাখ ৮২ হাজার ৮২৯ টাকা নির্ধারণপূর্বক তার মধ্যে অবৈধ ৫৬ লাখ ১১ হাজার ৮০০ টাকা এবং ধানমন্ডিস্থ ১৪ নং রোর্ডের ৮/এ/৮/১ ফ্ল্যাটের তৎকালীন ক্রয়মূল্য ১৮ লাখ টাকা নির্ধারণপূর্বক তার মধ্যে অবৈধ ৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আশিকুর রহমান জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মো. আজাহার আলী স্থাবর/অস্থাবরসহ ১ কোটি ৩০ লাখ ১৮ হাজার ৬৭৬ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ১২ লাখ ৮৬ হাজার ৮০০ টাকার জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ, যার মধ্যে ৭৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে তিনি সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা এবং অসাধুভাবে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ১২ লাখ ৮৬ হাজার ৮০০ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখল করেন।

এসব অভিযোগে ২০১২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আজাহার আলীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোনায়েম খান। ২০১৫ সালের ১৬ জুন আজাহার আলীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদক।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- কেন্দ্রীয় জরিপ সার্কেল-৫ এর সহকারী কর কমিশনার (অব.) জগদীশ চন্দ্র সরকার, সার্কেল-১ এর প্রাক্তন অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার মাহবুবুর রহমান, জরিপ সার্কেল-৫ এর প্রাক্তন অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার শাহ আলম, জরিপ সার্কেল-৪ এর অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার (অব.) এম এম নুরুজ্জামান এবং সার্কেল-২ এর অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার জাহিদুল ইসলাম।

২০১৬ সালের ১৬ মার্চ ওই ৫ আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে আজাহার আলীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আজাহার আলীর পক্ষে চারজন সাফাই সাক্ষ্য দেন।

জেএ/আরএস/পিআর

আরও পড়ুন