ডাকাতি প্রস্তুতির মামলায় ৯ জন রিমান্ডে
ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার ৯ জনকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য রাজধানীর তুরাগ থানায় ডাকাতি প্রস্তুতির মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রোববার রাতে র্যাব-১ এর স্কোয়াড কমান্ডার (সিপিসি-২) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল দিয়াবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের মূলহোতাসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতাররা হলেন- আসলাম আলম স্বাধীন (২৫), আশরাফুল ইসলাম সনি ওরফে বিশু (২৬), রবিন (২৫), শামীম ইসলাম (২২), নাজমুল হাসান (২১), নিজাম উদ্দিন অপু (২৫), মিজানুর রহমান (২৩), তাইমুল ইসলাম (১৯) ও মামুন (১৯)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বন্দুক, দুই রাউন্ড কার্তুজ, দুটি চাপাতিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১ জানিয়েছে, চক্রের সদস্যরা দিনে ভিন্ন ভিন্ন চাকরি করতেন। সন্ধ্যা নামতেই একত্রিত হতেন রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায়। ১০-১২ জন মিলে ইয়াবা ব্যবসার সিন্ডিকেটের পাশাপাশি গড়ে তোলেন একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। এ এলাকায় বেড়াতে আসা কিংবা চলাচলরত লোকদের টার্গেট করে মোবাইল, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নিতেন ওই দলের সদস্যরা।
সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম জানান, ডাকাত দলটি দীর্ঘদিন ধরে যোগসাজশে দিয়াবাড়ি এলাকায় ডাকাতি চালিয়ে আসছিল। ওই এলাকায় ঘুরতে আসা লোকজনকে সন্ধ্যার পর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব কেড়ে নিত। এ ছাড়া ওই রোডে চলাচলরত প্রাইভেটকারকে টার্গেট করত চক্রটি।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী চক্রের সদস্যরা ওঁৎ পেতে থাকত এবং কোনো প্রাইভেট গাড়ি দেখলেই তার গতিরোধ করে রাস্তার কাজ চলছে বা ভাঙা বলে নর্ঝন রোডে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করত। সেই সড়কে আগে থেকেই ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা প্রস্তুত থাকত।
এ ছাড়া চলন্ত গাড়ি থামানোর জন্য রশি ও রোড ব্লকার ব্যবহার করত। কোনো কোনো গাড়ির পেছন থেকে পাথর বা ইট ছুড়ে চালককে গাড়ি থামাতে বাধ্য করত। কখনো বা গাড়ির সামনের গ্লাসে ডিম ছুড়ে মারত। ফলে চালক কিছুই দেখতে না পেয়ে গাড়ি থামাতে বাধ্য হতেন। সেই সুযোগে অস্ত্র দিয়ে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে কখনো বা শারীরিকভাবে নির্যাতন করে সবকিছু লুট করে পালিয়ে যেত চক্রটি।
আটক স্বাধীন এ চক্রের মূলহোতা উল্লেখ করে র্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, স্বাধীন ইয়াবা সেবনের পাশাপাশি ইয়াবার ব্যবসা করতেন। গত জুনে ইয়াবাসহ স্বাধীনকে আটক করেছিল পুলিশ। জামিনে বের হয়ে তিনি আবারও একই কাজে জড়িয়ে পড়েন।
জেএ/জেডএ/এমএস