হাইকোর্টে রাজউক কর্মচারীর ১১ বছরের কারাদণ্ড
বহুতল ভবনের নকশা অনুমোদন সংক্রান্ত ৫৭টি নথি গায়েব করায় দুদকের দায়ের করা মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মচারী মো. শফিউল্লাহকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই মামলায় বিচারিক আদালতে (নিম্ন আদালত) নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পেয়েছিলেন তিনি।
রোববার (৩ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আজ (রোববার) রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে আইনজীবী আসিফ হাসান এবং আসামি পক্ষে একেএম ফখরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাজউকের সাবেক ইস্যু ক্লার্ক (বর্তমানে স্টেট সেকশনের স্টেনো ক্লার্ক) মো. শফিউল্লাহ ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে রাজউকের বহুতল ভবনের নকশা অনুমোদন সংক্রান্ত ৫৭টি নথি অথরাইজড অফিসার-১ ও ৩ এর দফতরের রেকর্ড রুমে প্রেরণ না করে সেগুলো গায়েব করেন।
এই অভিযোগে ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর শফিউল্লাহের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক খন্দকার আখেরুজ্জামান।
২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর ঢাকার ৭ নম্বর বিশেষ জজ আদালত নির্দোষ প্রমাণে তাকে খালাস দেন। পরের বছরের ৭ এপ্রিল এই খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করে দুদক।
রোববার হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে ১১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। আদালত রায়ে শফিউল্লাহকে ১৫ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।
এফএইচ/আরএস/পিআর