ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

খন্দকার মোশাররফের জামিন স্থগিত

প্রকাশিত: ০৬:৩০ এএম, ২৭ আগস্ট ২০১৫

অর্থ পাচারের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের হাই কোর্টের জামিন আদেশ দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এই সময়ের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-কে `লিভ টু আপিল` করতে বলেছে আদালত।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, এ আদেশের ফলে খন্দকার মোশাররফ মুক্তি পাচ্ছেন না।

অর্থ পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত ১৯ আগস্ট শর্ত সাপেক্ষে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের জামিন মঞ্জুর করে হাই কোর্ট। পরে এ জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। চেম্বার জজ বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেয়। এ প্রেক্ষিতে বিষয়টি ওপর বুধবার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান। খন্দকার মোশাররফের পক্ষে ছিলেন নিতাই রায় চৌধুরী। খুরশীদ আলম খান আরো বলেন, হাইকোর্ট গত ১৯ আগস্ট শর্ত সাপেক্ষে খন্দকার মোশাররফকে জামিন দেয়। শর্তের মধ্যে রয়েছে খন্দকার মোশাররফের পাসপোর্ট সংশ্লিষ্ট আদালতে জমা দিতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। এছাড়া তার যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে, সেই হিসাবে কোনো লেনদেন করা যাবে না।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক নাসিম আনোয়ার ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে প্রায় ৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী থাকাকালে খন্দকার মোশাররফ হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ পাচার করেছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের লয়েডস টিএসবি অফশোর প্রাইভেট ব্যাংকিংয়ে স্ত্রীর সঙ্গে যৌথ নামে ‘ফিক্সড টার্ম ডিপোজিট’ নামের হিসাবে আট লাখ চার হাজার ১৪২ দশমিক ১৩ ব্রিটিশ পাউন্ড জমা করেন। ১১৮ দশমিক ৬৩ টাকা হারে ওই জমা করা ব্রিটিশ পাউন্ডের বাংলাদেশি নয় কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা। বিদেশে জমা করা এ অর্থের বিষয়ে সম্পদ বিবরণী কিংবা আয়কর বিবরণী নথির কোথাও তিনি উল্লেখ করেননি। বিদেশে বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব খোলার বিষয়ে ড. খন্দকার মোশাররফ বা তার স্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে কোনো অনুমোদন নেননি।

এফএইচ/আরএস/আরআইপি