সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধে রিটের শুনানি আজ
সরকারি হাসপাতালে ডিউটি চলাকালীন চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের ওপর শুনানি হবে আজ (সোমবার)। দুপুরে এই শুনানি হবে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন রিটকারি আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
তিনি আরও জানান, বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ এই রিটের শুনানি হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে শুনানি ‘নট টুডে’ করে রিটের ড্রাফট ঠিক করে আনতে বলেছিলেন হাইকোর্ট। সেই নির্দশনা অনুযায়ী ড্রাফট ঠিক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আদালতে ওই দিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে গত সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবী। তারা হলেন- আব্দুস সাত্তার পালোয়ান, সালাউদ্দিন রিগান, সুজাত মিয়া, মো. আমিনুল হক এবং মো. কাওছার উদ্দিন মণ্ডল।
রিটের বিষয়ে আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান জাগো নিউজকে বলেন, রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশেনের (বিএমএ) সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে সরকারি চিকিৎসকদের সম্পূর্ণভাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে। এছাড়াও সরকারি হাসপাতালের কিৎসকসহ সবার কার্যক্রম তদারকি করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের অনিয়ম বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে, রিট আবেদনে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা গঠনে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের আর্জি জানানো হয়।
এর আগে অফিস চলাকালীন সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধে গত ২৯ জানুয়ারি সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
নোটিশে বলা হয়, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়া প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু সম্প্রতি নিজ কর্মস্থল সরকারি হাসপাতাল রেখে অনেক চিকিৎসক ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা দিচ্ছেন। সরকারি হাসপাতালে ডিউটি চলাকালে তাদের এমন আচরণ আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। তাই সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নিতে বলা হয় নোটিশে।
এফএইচ/এমএমজেড/আরআইপি