ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

উৎসাহ উদ্দীপনায় চলছে বার কাউন্সিলের ভোটগ্রহণ

প্রকাশিত: ০৭:৫২ এএম, ২৬ আগস্ট ২০১৫

আইনজীবীদের সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও আইন পেশার সর্বোচ্চ সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার সকাল ১০টায় সারাদেশের সঙ্গে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে স্থাপিত ভোট কেন্দ্রেও শুরু হয় ভোটগ্রহণ।

মাঝখানে দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা বিরতির পর একটানা ৫ টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। ঢাকা বার ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিতে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই।

এবারের নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন দেশের ৪৩ হাজারের বেশি আইনজীবী সদস্য। দেশের জেলা সদরের সকল দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপিত ভোটকেন্দ্র এবং বাজিতপুর, ঈশ্বরগঞ্জ, দুর্গাপুর, ভাঙ্গা, চিকন্দি, পটিয়া, সাতকানিয়া, ফটিকছড়ি, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, নবীনগর ও পাইকগাছাসহ দেশের ১২ উপজেলা পর্যায়ের দেওয়ানি আদালত অঙ্গণের ভোটকেন্দ্র থেকেও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের খবর আসছে।

আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রত্যেক ভোটারকে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা পাসপোর্ট দেখিয়ে ভোট দিতে হচ্ছে। নির্বাচনে চারটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তবে আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীদের সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদ (সাদা প্যানেল) এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য (নীল প্যানেল) প্যানেলের মধ্যে মূল লড়াইটা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

ভোটর তালিকায় ত্রুটি থাকার কারণে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটের প্রেক্ষিতে প্রথমে হাইকোর্টের আদেশে পরে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আদেশে কয়েক দফা ভোট গ্রহণ পিছিয়েছিল।

এরপর আদালতের আদেশের পর সংশোধিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, সারাদেশের ৪৩ হাজার ৩০২ জন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন এ নির্বাচনে। আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রত্যেক ভোটারকে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা পাসপোর্ট সঙ্গে নিয়েই ভোট দিচ্ছেন।

বার কাউন্সিল ১৫ জন সদস্যের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। আর বাকি ১৪ জন আইনজীবী সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। এই ১৪ জনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে একজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এবারের নির্বাচনে সাদা প্যানেলে রয়েছেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল-ইসলাম, আবদুল বাসেত মজুমদার, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আবদুল মতিন খসরু, পরিমল চন্দ্র গুহ, জেডআই খান পান্না ও শ.ম. রেজাউল করিম।

গ্রুপ অনুযায়ী রয়েছেন গ্রুপ-‘এ’ ঢাকা আসনে কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, গ্রুপ-বি আসনে আলহাজ এইচ আর জাহিদ আনোয়ার, গ্রুপ- ‘সি’ আসনে ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, গ্রুপ- ‘ডি’আসনে সরোয়ার আহম্মেদ চৌধুরী আবদাল, গ্রুপ- ‘ই’ আসনে পারভেজ আলম খান, গ্রুপ-‘এফ’ আসনে মো. ইয়াহিয়া ও গ্রুপ-‘জি’ আসনে রেজাউল করিম।

অন্যদিকে নীল প্যানেলে রয়েছেন- খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ. জে. মোহাম্মদ আলী, এ.এম. মাহবুব উদ্দিন (খোকন), সানাউল্লাহ মিয়া, বদরুদ্দোজা (বাদল), আলহাজ মো. বোরহান উদ্দিন ও মহসিন মিয়া।

গ্রুপ-‘এ’ আসনে রয়েছেন গোলাম মোস্তফা খান, ‘বি’ আসনে মোহাম্মদ আবদুল বাকী মিয়া, ‘সি’ আসনে কবির চৌধুরী, ‘ডি’ আসনে কাইমুল হক, ‘ই’ আসনে আবদুল মালেক, ‘এফ’আসনে মো. ইসহাক ও ‘জি’ আসনে এ. কে. এম. হাফিজুর রহমান।

সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল ছাড়াও আইনজীবী ঐক্য পরিষদ ও আইনজীবী ঐক্য ফ্রন্ট নামে আরো দুটি প্যানেল দেওয়া হয়েছে।

এফএইচ/এসএইচএস/এমএস