ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

সারাদেশে ৩৩ শতাংশ বাসের ফিটনেস নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:১৩ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সারাদেশের রাস্তায় চলাচল করা যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে ৩৩ শতাংশ বাসের ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই বলে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। অন্যদিকে, ৫৬ শতাংশ বাসের গতি নিয়ন্ত্রক সার্টিফিকেট নেই বলেও জানানো হয়েছে।

রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমদ বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিবেদন দাখিলের নির্ধারিত দিনেই হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো.আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

আদালতে বিআরটিএ’র পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন আইনজীবী মো. রাফিউল ইসলাম। এ সময় রিট আবেদনকারী আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন আসিফ পারভেজ ও মইনুল হক হাওলাদার।

১৫০ পৃষ্ঠার উপরে দাখিল করা এ প্রতিবেদন ঢাকার বনানী, মাওয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় যানবাহনের ওপর জরিপ চালিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

তানভির আহমেদ বলেন, এর আগে গত ৩১ জুলাই অতিরিক্ত সচিব (এস্টেট) রওশন আরা বেগমকে সভাপতি ও বিআরটিএ-এর সচিব মো. আব্দুস সাত্তারকে সদস্য সচিব করে হাইকোর্ট ১৫ সদস্যের একটি কমিটি করে দেয়। যা জাতীয়ভাবে সারাদেশের পরিবহনগুলোর ওপর একটি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজ এমন একটি প্রতিবেদন বিআরটিএ আদালতে দাখিল করেছে।

তিনি বলেন, প্রতিবেদনে দেখা যায়- দেশে ৩৩ শতাংশ যাত্রীবাহী বাসের ফিটনেস নেই এবং ৫৬ শতাংশ বাসের গতি নিয়ন্ত্রক সার্টিফিকেট নেই। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধের কারণ ও রোধের বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞান সম্মত একটি পর্যবেক্ষণ করতেও প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।

গত বছরের ৩১ জুলাই বিশেষজ্ঞ কমিটির দ্বারা ফিটনেসহীন পরিবহনের ওপর জরিপ চালিয়ে তিন মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, বিআরটিএ চেয়ারম্যান এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সচিবের নেতৃত্বে অভিজ্ঞদের দ্বারা কমপক্ষে ১৫ সদস্যের একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে ওই কমিটির দ্বারা ফিটনেসহীন পরিবহনের ওপর জরিপ করে তিন মাসের মধ্যে তা প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।

রিটকারী আইনজীবী তানভির আহমেদ বলেন, এ মামলার শুনানিকালে তারেক মাসুদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া সংক্রান্ত মামলার সিআইডি রিপোর্ট আদালতকে দেখিয়েছি। ওই রিপোর্টে গাড়ির ফিটনেসের অভাবের বিষয়টি ওঠে এসেছে। তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজিবের মামলার ছবিও আদালতকে দেখিয়েছি। সে বাসটিও আনফিট ছিল।

এছাড়া গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত ও আহত হওয়ার সঙ্গে জড়িত বাসের ছবিও আদালতকে দেখিয়েছি। দুর্ঘটনার শিকার এসব বাসের একটিতেও ফিটনেস ছিল না। তাই এ বিষয়ে আদালতে রুল জারিসহ নির্দেশনা চাওয়া হয়।

এফএইচ/আরএস/জেআইএম

আরও পড়ুন