কলাগাছের দ্বন্দ্বে ভাতিজাকে হত্যা : চাচাসহ তিনজনের খালাস
বাড়ির প্রবেশ পথে কলাগাছ রোপনকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহের বাড়তিপাড়া বড়ইরচর গ্রামের আনিছ মিয়া হত্যা মামলায় চাচা হুরমুজ আলী ও তার ছেলে আবু হানিফ এবং জবান আলীকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে এ মামলার অন্য আসামি মমরোজ আলীকে দেয়া বিচারিক আদালতের এক বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত।
আসামিদের মধ্যে হুরমুজ আলী কারাগারে আছেন। আর অন্যরা জামিনে আছেন।
আনিছ হত্যা মামলায় আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের পরিপেক্ষিতে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফজলুল হক খান ফরিদ ও অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান রাহি।
পরে অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান রাহি বলেন, হুরমুজ আলীর বাড়ির প্রবেশ পথে তার ভাতিজা আনিছ মিয়া কয়েকবার কলাগাছের চারা রোপন করলে তা উপড়ে ফেলা হয়। বারবার একই ঘটনার পুনারাবৃত্তি হওয়ায় আনিছ মিয়া তার চাচা হুরমুজ আলী ও তার ছেলেদের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাধে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ২০০৮ সালের ২১ মার্চ হুরমুজ আলী বল্লম দিয়ে আনিছকে আঘাত করেন। পরে ওই আঘাতেই আনিছ মারা যান।
এ ঘটনায় ২১ মার্চ আনিছের বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট ময়মনসিংহের বিশেষ জজ আদালত হুরমুজ আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং তার ছেলে মমরোজ আলী, আবু হানিফ এবং জবান আলীকে এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন।
পরে আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে আজ হাইকোর্ট এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান রাহি বলেন, হত্যাকাণ্ডটি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটেনি। দুই পক্ষের বিরোধের জেরেই এ ঘটনা ঘটেছিল। তাই বল্লম দিয়ে আঘাতের অপরাধে হাইকোর্ট হুরমুজ আলীর গত সাড়ে ১০ বছরের সাজা দণ্ড হিসেবে গ্রহণ করে তাকে খালাস দিয়েছেন। একইসঙ্গে মমরোজ আলীকে বিচারিক আদালতের দেয়া এক বছরের সাজাও বহাল রেখেছেন। আর মামলার অন্য দুই আসামি আবু হানিফা ও জবান আলীকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এফএইচ/এনডিএস/জেআইএম