শিশু হৃদয়কে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ইয়াছিন মল্লিক
মাত্র ১৫০০ টাকার জন্য শিশু হৃদয়কে অপহরণ করে হত্যা করেছেন বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতার ইয়াছিন মল্লিক (২৩)।
বুধবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় রাজধানীর লালবাগ থানায় করা মামলায় তার সেচ্চায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শনিবার লালবাগের বালুরমাঠে নিখোঁজ হওয়া শিশু হৃদয় সানার (৭) বস্তাবন্দি মরদেহ মঙ্গলবার কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ উদ্ধার করে। বিকেলে সড়কের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ইয়াছিন মল্লিক (২৩) নামে হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াছিন পাওনা ১৫০০ টাকার জন্য হৃদয়কে হত্যা করে বলে স্বীকার করেছে।
পুলিশের লালবাগের বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গ্রেফতার ইয়াছিন হৃদয়ের বাবা রমজান সানার কাছে ১৫০০ টাকা পেত। সেই টাকা না দেয়ার কারণে ক্ষোভে থেকে হৃদয়কে হত্যা করে। ইয়াছিন মল্লিক পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ২৬ জানুয়ারি বিকেলে লালবাগের বালুরমাঠে ফুটবল খেলার সময় হৃদয়কে ডেকে কামরাঙ্গীরচরের আলীনগর সড়কের নিজের ভাড়াবাসায় নিয়ে যায় ইয়াছিন। সন্ধ্যার দিকে সেখানে নিয়ে তার মুখ ও নাক চেপে ধরে, এরপর মুখ ও নাকে স্কচটেপ পেচিয়ে হত্যা করে।
ইয়াছিনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কামাল হোসেন বলেন, হত্যার পর মরদেহ গুম করতে বস্তায় ঢুকিয়ে প্রথমে খাটের নিচে রাখে। সেখানে দুদিন রাখার মরদেহ থেকে গন্ধ বের হলে ১৮ জানুয়ারি সোয়া ১২টার দিকে বাসা থেকে বস্তা বের করে আলীনগর গলির মাথায় রেখে যায়। সকলে স্থানীয়রা গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এরপর কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি শিশুটি লালবাগ থেকে নিখোঁজ হয়। এই ঘটনায় লালবাগ থানায় একটি জিডি (নং ১১৭৭) করা হয়। হৃদয়ের বাবার রমজান আলী পেশায় রাজমিস্ত্রি। তাদের গ্রামের বাড়ি খুলনা। হৃদয় মা-বাবার একমাত্র সন্তান। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জেএ/বিএ