ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

৯৩২ দপ্তরিকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:০০ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত ৯৩২ জনের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত পৃথক ছয়টি রিটের ওপর জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে আজ রিট আবেদনকারীদের পক্ষে চূড়ান্ত শুনানিতে অংশগ্রহণ নেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও নাসিরউদ্দিন খান সম্রাট। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

আইনজীবী নাসিরউদ্দিন খান সম্রাট বলেন, ‘আদালত চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে এ সংক্রান্ত পৃথক ছয়টি রিট একীভূত করে রায় দিয়েছেন। রায়ে রিটকারীদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন।’

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, ‘দপ্তরি কাম প্রহরী পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ছয়টি রিটের আবেদনকারীদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের পাশাপাশি ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম-প্রহরী পদে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগের নীতিমালা ২০১২’ এর যেসব নীতি আইএলও কনভেনশন ও বাংলাদেশের শ্রম আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সেরকম কয়েকটি নীতি অবৈধ ঘোষণা করেছেন।’

সরকার ২০১২ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী নিয়োগের জন্য নীতিমালা তৈরি করে। এরপর সারাদেশে ৩৬ হাজার ৯ ৮৮টি পদ সৃষ্টির মাধ্যমে নিয়োগ দেয় সরকার।

তবে, সংশ্লিষ্টদের অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়। এ অবস্থায় রাজস্ব খাতে স্থানান্তর চেয়ে সংশ্লিষ্টরা গত বছর ছয়টি রিট করেন। সেসব রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিভিন্ন সময় আদালত রুল জারি করে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি-কাম প্রহরীদের চাকরি কেন রাজস্বখাতে স্থানান্তর করা হবে না এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দপ্তরি কাম-প্রহরী পদে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগের নীতিমালা ২০১২ সংশোধনে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয় রুলে। সে সব রিটকে একত্রিত করে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে তা যথাযথ ঘোষণা করে আজ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এফএইচ/জেএইচ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন