ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

মহিউদ্দিনসহ হিযবুত তাহরীর নেতাদের রায় হয়নি, ফের সাক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৫৬ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

ষষ্ঠবারের মত হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিনসহ ছয়জনের রায় ঘোষণার জন্য বুধবার নির্ধারিত ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি রায় ঘোষণা থেকে উত্তোলন করে পুনরায় সাক্ষ্য নেয়ার জন্য আবেদন করেন। সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি মঞ্জুর করে ১২ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আবেদনে উল্লেখ করেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নুরুল আমীনসহ ছয়জন আদালতে সাক্ষ্য দেয়নি। তারা আদালতে এসে সাক্ষ্য না দিলে রাষ্ট্রপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে মামলাটি রায় ঘোষণা থেকে উত্তোলন করে পুনরায় তাদের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হোক। অপর পাঁচ সাক্ষী হলেন, পুলিশের উপ-পরিদর্শক দেবদুলাল দে, মিজানুর রহমান, সহকারী উপ-পরিদর্শক বিপ্লব চন্দ্র দেবনাথ, আব্দুল আলীম ও জৈনিক বাবুল।

এর আগে ১৩ জানুয়ারি সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমানের আদালতে এই মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। পঞ্চমবারের মতো রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক ৩০ জানুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল উত্তরা থানাধীন ৩ নম্বর সেক্টরে তাকওয়া মসজিদের পশ্চিম পাশে হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের কিছু সদস্য সরকারবিরোধী লিফলেট ও পোস্টার বিলি এবং জনজীবনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য পেট্রলবোমা নিয়ে আসেন। এ খবর পেয়ে উত্তরা থানার উপ-পরিদর্শক ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।

২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নুরুল আমীন হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত কামরুল হোসেন মোল্লা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ১৬ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সাতজন সাক্ষ্য দেন।

মামলার আসামিরা হলেন- হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিন, যুগ্ম সমন্বয়ক কাজী মোরশেদুল হক প্লাবন, হিযবুত তাহরীর সদস্য তানভীর আহম্মেদ, সাইদুর রহমান, আবু ইউসুফ আলী ও তৌহিদুল আলম।

জেএ/জেএইচ/এমএস

আরও পড়ুন