এমপিদের শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ : রিটের শুনানি ৩১ জানুয়ারি
দশম জাতীয় সংসদ না ভেঙে দিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের নেয়া শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানির জন্য ৩১ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে রিটের ওপর শুনানি করতে সময় আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এ সময় রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন এ কে এম এহসানুর রহমান।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছিলেন হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চ। এরপর এই রিট নিয়ে প্রথমে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিট শুনানিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করলে তা শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়।
এর আগে ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী মো. তাহেরুল ইসলাম তাওহীদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন রিটটি দায়ের করেছিলেন।
রিটে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। পরে ১৬ জানুয়ারি শুনানি শেষে পরের দিন হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট খারিজ হয়ে যায়।
রিট দায়েরের আগে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আইনি নোটিশ দেয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়, সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদে সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সে অনুচ্ছেদ প্রতিপালন না করে পুনরায় সংসদ সদস্যরা শপথ নেয়ায় বর্তমানে দুইটি সংসদ বহাল রয়েছে, যা সংবিধান পরিপন্থী। কিন্তু সে নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয় বলে জানান ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান।
নোটিশে বলা হয়, ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ সালে শুরু হওয়া দশম জাতীয় সংসদের মেয়াদ ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার কথা ২৮ জানুয়ারি। কিন্তু দশম জাতীয় সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই তারা ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন সম্পন্ন করে শপথ অনুষ্ঠান করেছেন।
মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের আরও বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের গত ৩ জানুয়ারি নেয়া শপথ বাতিল বা প্রত্যাহার করতে স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘১৪৮(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শপথের জন্য নির্বাচিতদের উচিত ছিল ১২৩(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করা। ফলে, এই শপথ বাতিল করার জন্য আমরা বলেছি।
এফএইচ/জেএইচ/এমকেএইচ