মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা লোপাট : তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
সাড়ে ৬ হাজার মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতার ৪ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার এ সংক্রান্ত একটি রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট এই নির্দেশনা দেয়।
হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে বিষয়টি তদন্ত করতে হবে। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে হবে।
একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দিতে না পাড়ার ব্যার্থতাকে কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
রোববার সকালে ৬ হাজার ৪৫৬ মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতার প্রায় ৪ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত।
রিটে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বরিশালের জেলা প্রশাসক, তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কর্মকর্তাসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে রোববার সকালে আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত বলেছিলেন, রিটে ভাতা লোপাটের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা ছাড়াও রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে। আবেদনটি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
প্রসঙ্গত গত ২ জানুয়ারি ‘সাড়ে ৬ হাজার মুক্তিযোদ্ধার ভাতা লোপাট’ শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বরিশালে ৬ হাজার ৪৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতার প্রায় চার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাবদ এই টাকা ছাড় করেছে তারা। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা জানিয়েছেন, তাদের হাতে এই টাকা এখনও পৌঁছায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মূলত জেলা প্রশাসক, বরিশালের কার্যালয় থেকেই এই গরমিল শুরু। কিন্তু জেলা প্রশাসন বলছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বাবদ প্রায় চার কোটি টাকা কম দেয়া হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর ইতোমধ্যে বরিশালে চারজন জেলা প্রশাসক বদলি হয়েছেন। কিন্তু আজও এ সমস্যার সমাধান হয়নি। ভাতাও বুঝে পাননি মুক্তিযোদ্ধারা।
এআর/এমএমজেড/পিআর