ভোটে ফিরতে পারলেন না ধানের শীষের হান্নান
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আবদুল হান্নানের প্রার্থিতা ফিরে পেতে করা আবেদনে কোনো আদেশ দেননি চেম্বারজজ আদালত। এর ফলে, হাইকোর্টের আদেশই বহাল রইল অর্থাৎ তার প্রার্থিতা বাতিলই থাকল।
ঋণ খেলাপের অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের করা রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আবদুল হান্নানের মনোনয়নপত্র স্থগিত করেছিলেন। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে গেলে আজ (সোমবার) শুনানি শেষে আদালত কোনো আদেশ দেননি।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে, প্রার্থী আবদুল হান্নানের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, তার সঙ্গে ছিলেন এম. সাইদ আহমদ রাজা।
হাইকোর্টের দেয়া ওই আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে গেলে আজ সকালে শুনানি শেষে আদালত কোনো আদেশ দেননি। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকায় বিএনপির প্রার্থীশূন্য হলো চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসন।
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান। বর্তমানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছাড়াও ভোটের মাঠে আরও সাতজন প্রার্থী রয়েছেন।
জানা গেছে, চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনে সবাইকে চমকে দিয়ে কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীকে বাদ দিয়ে বিএনপির মনোনয়ন পান সদ্য বিএনপি থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়া এম এ হান্নান।
গত ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রিমিয়ার ব্যাংক ও সোনালি ব্যাংক এম এ হান্নানকে ঋণ খেলাপি উল্লেখ করে আবেদন করেন। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার প্রথমে তার সিদ্ধান্ত না দিলেও যাচাই বাছাইয়ের শেষ সময়ে এম এ হান্নানকে বৈধ ঘোষণা করেন। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে সেখানেও এম এ হান্নানের পক্ষে মতামত যায়।
এফএইচ/এনএফ/জেএইচ/এমকেএইচ