ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

১৩ মামলায় এহসানুল হক মিলনের জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৩৭ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮

চাঁদপুর-কচুয়া থানায় চাঁদাবাজি ও নাশকতার অভিযোগে করা ১৩ মামলা সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহসানুল হক মিলনকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আরও বেশ কিছু মামলা থাকায় আপাতত মিলনের মুক্তি মিলেছে না বলে জানান তার আইনজীবী।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মিলনের পক্ষে ১৪টি মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত শুনানি নিয়ে ১৩ মামলায় তাকে জামিন দিয়েছেন। এক মামলায় তার জামিন হয়নি। ফলে সহসাই তার কারামুক্তি হচ্ছে না। এছাড়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপিল দায়ের করা হবে বলেও তিনি জানান।

জামিন সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার হাইকোর্টে বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মুজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ মিলনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার গোলাম নবী, সঙ্গে ছিলেন সায়েদা ইয়াসমিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ।

ব্যারিস্টার গোলাম নবী জানান, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার বিরোধী দলের আন্দোলনের সময় হরতাল অবরোধ চলাকালে ২০১৩ সালে ১৯ অক্টোবর সকালে নাশকতার অভিযোগে কচুয়া থানায় একটি মামলা করে। এরপর বিকেলে একই থানায় আরও একটি মামলা করা হয়। এ ছাড়া চাঁদাবাজির অভিযোগে ২০১০ সালের ২৮ নভেম্বর চাঁদপুর সদর থানায় একটি মামলা করা হয়।

অন্যদিকে, চাঁদাবাজি এবং জমি দখলের অভিযোগে কচুয়া থানায় ২০১০ সালের ২৬ এপ্রিল, ১৪ জুন, ৩০ আগস্ট, ২০১১ সালের ১৫ জানুয়ারি ১৯ এপ্রিল, ৯ জুন পৃথক পৃথক ১০টি মামলা করা হয়।

তা ছাড়াও একটি হত্যা মামলাসহ মোট ১৪টি মামলায় এদিন হাইকোর্টে এহসানুল হক মিলনের পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে ১৩ মামলায় তাকে জামিন দেন আদালত।

গত ২৩ নভেম্বর থেকে চাঁদপুরের কারাগারে আছেন এহসানুল হক মিলন। চাঁদপুরের বিভিন্ন আদালতে তার নামে ২৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাও রয়েছে।

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার অংশ নেয়ার কথা থাকলেও দলীয় মনোনয়ন পাননি বিএনপির এই নেতা।

এফএইচ/এসএইচএস/জেআইএম

আরও পড়ুন