খালেদা নির্বাচন করতে পারবেন কি-না জানা যাবে কাল
দণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কি-না তা জানা যাবে আগামীকাল মঙ্গলবার।
গতকাল রোববার ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট দায়ের করা হয়। সোমবার এ বিষয়ে শুনানি শেষ হয়।
আগামীকাল মঙ্গলবার আদালত এ বিষয়ে রায় দেবেন বলে হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেবেন।
আদালতে এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানির জন্য উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির। রোববার বেলা ২টার দিকে নির্বাচন কমিশন থেকে আদেশের কপি নিয়ে আসেন আইনজীবী ব্যারিস্টার ফাইয়াজ জিবরান।
ব্যারিস্টার ফাইয়াজ জিবরান বলেন, ‘নির্বাচনবিধি (১২)-১ এর ‘ঘ’ অনুসারে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। সেখানে যেসব সেকশন রয়েছে সেসব কানেক্টেড নির্বাচনী আচরণ-সংক্রান্ত।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের মাঠে কেউ যদি কোনো অপরাধ করে যেমন- মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়, নির্বাচনী প্রসেস শুরুর সময়, কাউকে মারধরের ফলে, কাউকে গুলি করে আহত করা, ভোট কেন্দ্রে অরাজক অবস্থা তৈরি করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করা- এসব ক্ষেত্রে নির্বাচন-সংক্রান্ত বিধিতে মনোনয়নপত্র বাতিল করা যায়। এখনও সে অবস্থাই তৈরি হয়নি।’
‘সবশেষ কথা হলো, বেগম খালেদা জিয়া এখন কারাগারে। তার দ্বারা এসব কোনো অপরাধে জড়িত হওয়ার সুযোগ নেই।’
গত ৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিলের শুনানির পর সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত দেন।
শুনানিতে প্রার্থিতা বহালের পক্ষে মত দেন মাহবুব তালুকদার। এর বিপক্ষে মত দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চারজন।
প্রার্থিতা বাতিল করা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে রিট দায়ের করা হয়।
নির্বাচন কমিশনের পুনঃতফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আজ (৯ ডিসেম্বর) প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর থেকে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া বগুড়া-৬ ও ৭ এবং ফেনী-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা তার মনোনয়নগুলো বাতিল করে দেন।
এসআই/ এফএইচ/জেএইচ/আরআইপি