মেয়র পদে থেকে নির্বাচন করতে বাধা নেই : হাইকোর্ট
পৌরসভার মেয়র পদে থাকা প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে বিএনপির পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পৃথক পাঁচটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদেশে নীলফামারী-৪ আসনের আমজাদ হোসেন সরকার, দিনাজপুর-৩ আসনের সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, নীলফামারী-৩ আসনের ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী, নওগাঁ-৫ নাজমুল হক এবং পঞ্চগড়-১ আসনের তৌহিদুল ইসলামের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়া হয়।
রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, বিএনপির পাঁচ প্রার্থীর পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছিলাম। তারা সবাই পৌরসভার মেয়র পদে বহাল আছেন। কিন্তু লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে চাওয়ার কারণে রিটার্নিং অফিসাররা এই প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। আমরা সেই আদেশের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করেছিলাম। কিন্তু সে আপিলও নামঞ্জুর হয়। এরপর সেই আদেশের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে রিট দায়ের করি।
শুনানি নিয়ে আদালত বলেছেন, পৌর সভার মেয়র পদটি লাভজনক পদ নাকি অলাভজনক তা রুলের পূর্ণাঙ্গ শুনানি ছাড়া নিষ্পত্তি করা সম্ভব না।
কাজল আরও জানান, আমি আদালতকে বেশ কিছু রায় দেখিয়ে বলেছি এর আগেও আদালতের অন্য রায়ে বলা হয়েছে, পৌরসভা মেয়র বা চেয়ারম্যানের পদটি লাভজনক নয়। আমি আদালতকে পূর্বের আরও রায় দেখিয়েছি যেখানে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একটি রায়ে আছে, সংসদ সদস্য যারা তাদের পদটিও লাভজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং আদালতে আমাদের যুক্তি ছিল, সংসদ সদস্যরা লাভজনক পদে থেকে যদি নির্বাচন করতে পারেন তবে পৌরসভার মেয়ররা স্বপদে থেকে কেন নির্বাচন করতে পারবেন না?
আদালত আমাদের রিটের শুনানি নিয়ে এ বিষয়ে রুল জারি করেছেন। একইসঙ্গে রিটার্নিং অফিসার মনোনয়নপত্র বাতিলের যে আদেশ দিয়েছিলেন এবং নির্বাচন কমিশন আপিল আদেশের মাধ্যমে সেই বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছিলেন- তা স্থগিত করেছেন। পাশাপাশি রিটকারীদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে তাদের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার সুযোগ দিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান এ আইনজীবী।
এফএইচ/জেএইচ/আরআইপি