বনানীতে ধর্ষণ : সাফাতের জামিন
বনানীর আলোচিত ‘দ্য রেইনট্রি’হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই ছাত্রী ধর্ষণের মামলার অন্যতম আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজিমুদ্দৌলা বৃহস্পতিবার তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। সাফাতের আইনজীবী ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি নজিবউল্ল্যা হিরু শুক্রবার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মামলাটি বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এ নিয়ে তিন আসামি জামিন পেলেন। জামিনে থাকা অপর দুই আসামি হলেন- সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী। এছাড়াও সাফাত আহমেদের বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম ও সাদমান সাকিফ কারাগারে রয়েছেন।
২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের পার্টির কথা বলে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়।
ওই ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পর ৬ মে সন্ধ্যায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে আসামি করে বনানী থানায় ধর্ষণের মামলা করেন এক ভুক্তভোগী।
এরপর ৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেনের আদালতে সাফাতসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক ইসমত আরা এমি। অভিযোগপত্রে ৪৭ জনকে সাক্ষী করা হয়।
১৩ জুলাই ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শফিউল আজম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আসামি সাফাত ও নাঈমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ (১) ধারা এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ৯ (১) এর ৩০ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
অভিযুক্ত পাঁচজন হলেন- আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী।
জেএ/এনডিএস/পিআর