ইউপি চেয়ারম্যান বোস হত্যা : মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির খালাস
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মলয় বোস (৪৫) হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামিসহ ১২ জনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর পাঁচজনকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। অপরদিকে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে চারজনের দণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত।
খালাস পাওয়া চারজন হলেন- সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও গোট্টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্রাক্তন চেয়ারম্যান ইমামুল হোসেন ওরফে তারা মিয়া (৬৬), আটঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বকুল মাতুব্বর (৩৩), স্থানীয় বাসিন্দা হাশেম মোল্লা (৪৮) ও মোশাররফ হোসেন (২৩)।
মৃত্যদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- মিজানুর মোল্লা (২৩), মামুন মাতুব্বর (২৪), মনিরুজ্জামান (পলাতক), মো. বেলায়েত হোসেন (২৩) ও উজ্জ্বল ব্যাপারী (২৯)। যাবজ্জীবন বহাল থাকা আসামিরা হলেন- সাত্তার মোল্লা (২৫), আককাস সিকদার (২০), নজরুল শেখ (২৮) ও ইমরান মাতুব্বর (২৫)।
খালাস পাওয়া আটজন হলেন- আজাদ মোল্লা (৩৮), সোহেল মিয়া (২৬), আমিনুল মাতুব্বর (৩৬), নসরু খান (২৯), হাতেম মোল্লা (৪৫), অলিয়ার রহমান (২৬), মিরাজ সর্দার (২৮) ও সেন্টু মাতুব্বর (২২)।
আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এস এম আব্দুল মবিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম আজাদ খান ও মারুফা আক্তার শিউলী।
মলয় বোস হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ নয়জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক মোতাহার হোসেন।
২০১২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মলয় বোসকে জেলার আটঘর-কানাইপুরের সীমান্তবর্তী রণকাইল এলাকার ধীরেন্দ্রনাথ দাসের বাড়ির কাছে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। দুইদিন পর ৯ ফেব্রুয়ারি মলয় বোসের স্ত্রী ববিতা বোস বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালী থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে মামলাটি ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এ স্থানান্তর করা হয়।
এফএইচ/বিএ