লতিফ সিদ্দিকীর রিটের আদেশ বৃহস্পতিবার
আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শুনানির এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
বুধবার আদালতে লতিফের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোরশেদুল আলম।
রিট আবেদনে নির্বাচন কমিশন, আইন সচিব, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও নির্বাচনকমিশনের উপসচিবকে (আইন) বিবাদী করা হয়েছে।
লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে রিট আবেদনটি গত ১৬ আগস্ট রোববার বিকালে হাইকোর্টের শাখায় দাখিল করেছেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। এর আগে ওই বেঞ্চ থেকে রিট আবেদনটি দায়েরের অনুমতি নেন তিনি।
জানতে চাইলে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, পার্লামেন্ট মেম্বরস (ডিটারমিনেশন অবডিসপুটস) অ্যাক্ট ১৯৮০-তে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সংবিধানের ৬৬(৪) অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে, সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে কোনো বিবাদ আসলে নির্বাচন কমিশন তা নিষ্পত্তি করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় লতিফসিদ্দিকী হজ, তাবলিগ জামায়াতসহ অন্যান্য বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এরপর প্রথমে মন্ত্রীসভা থেকে এবং পরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে।
লতিফ সিদ্দিকীকে দল থেকে বহিষ্কারের ৯ মাস পর গত ৭ জুলাই জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে চিঠি দিয়ে তা জানান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
চিঠিটি পর্যালোচনা করে স্পিকার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে ১৩ জুলাই চিঠি দেন।
সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে ২ আগস্টের মধ্যে জবাব চেয়ে ১৬ জুলাই নির্বাচন কমিশন লতিফ সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগকে চিঠি পাঠায়। নির্ধারিত সময়ের শেষদিনে উভয়পক্ষ প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের জবাব দেয় ইসিতে।
পরে আওয়ামী লীগ এবং বহিষ্কার হওয়া নেতার জবাব পর্যালোচনা করে কমিশন আগামী ২৩ আগস্ট তাদের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন। এ অবস্থায় ইসির শুনানির এখতিয়ারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের হল।
এফএইচ/এএইচ/পিআর
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ চিকিৎসক পরিচয়ে প্রতারণা: ঢামেকে গ্রেফতার পাপিয়া কারাগারে
- ২ মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী আমুর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- ৩ যথাযথ আবেদন না থাকায় সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামির পক্ষে শুনানি হয়নি
- ৪ ‘রাষ্ট্রীয় পদে যাওয়ার খবরে’ আসামিপক্ষে শুনানি করতে পারেননি সমাজী
- ৫ ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা কেন বাতিল করা হবে না, হাইকোর্টের রুল