ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিক-ম্যাজিস্ট্রেটদের অবাধ প্রবেশের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:১৩ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সব কেন্দ্রে পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অবাধে প্রবেশের সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।

সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে ইসি। সাংবাদিকদেরও পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অনুমতি নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রবেশের সুযোগ রাখা হয়েছে। আর পর্যবেক্ষকদের মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকতে বলা হয়েছে। এ সবের মাধ্যমে দেশের মানুষের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হচ্ছে। মানুষ ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে। তাই ইসিকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্রে পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অবাধে প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে।’

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে রোববার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জয়নুল আবেদীন এ দাবি জানান।

সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও ড. গোলাম রহমান ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ নাসরিন আক্তার, সিনিয়র সহ-সম্পাদক কাজী মো. জয়নুল আবেদীন, সদস্য ব্যারিস্টার শফিউল আলম মাহবুব, অ্যাডভোকেট আহসান উল্লাহ ও ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান।

জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। যেখানে আগের নির্বাচনগুলোতে ম্যাজিস্ট্রেটরা একটি দলের ব্যালটে জাল ভোট দেয়ার সময় তাদের হাতেনাতে ধরেছে এবং সাজা দিয়েছে। সেখানে আগামী নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেটদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এটা দুঃখজনক। ফলে ম্যাজিস্ট্রেটরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হবে।’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে। সাংবাদিকদের ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। অথচ সাংবাদিকরাই ভোট কারচুপির তথ্য জাতির সামনে তুলে ধরেন। কিন্তু ইসির কর্মকাণ্ডে শুধুই সন্দেহ বাড়ছে। একটি বিশেষ বাহিনী দ্বারা প্রভাবিত হয়েই আগে থেকেই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’

জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত অফিসার্স ক্লাবে সরকারের কয়েকজন কর্মকর্তা বসে বৈঠক করে এ সরকারকে আবার ক্ষমতা আনতে এবং নির্বাচন বানচাল করতে ষড়যন্ত্র করেছে। আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে জনগণের ভোটাধিকার বানচালের ষড়যন্ত্রকারী ওইসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর, ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা, ২ ডিসেম্বর বাছাই এবং ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন।

এফএইচ/এনডিএস/জেআইএম

আরও পড়ুন