ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

হেলমেটধারী সেই যুবকসহ ৬ জন পাঁচ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:২১ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০১৮

রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় হেলমেটধারী সেই যুবকসহ গ্রেফতার ছয় জনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আসামিরা ছাত্রদলের নেতাকর্মী। তারা হলেন- মো. আশরাফুল ইসলাম (রবিন), মো. সোহাগ ভূঁইয়া, মো. আব্বাস আলী, মো. এইচ কে হোসেন আলী, মো. মাহাবুবুুল আলম ও জাকির হোসেন উজ্জ্বল।

মঙ্গলবার তাদের আদালতে তুলে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরির্দশ কামরুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তাদের প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, সোমবার রাজধানীর সূত্রাপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। মামলার তদন্ত-গোয়েন্দা তথ্য ও আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে- যারা এই হামলার পরিকল্পনা করেছে তাদের উদ্দেশ্য ছিল পুলিশকে উসকানি দিয়ে পুলিশকে অ্যাকশনে যেতে বাধ্য করা। যেন তারা নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের অ্যাকশনের ও লাটিচার্জের ভিডিও দেখিয়ে বিভিন্ন মহলে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আসামিদের মধ্যে হোসেন আলী হেলমেট পরে শার্ট খুলে পুলিশের গাড়ির ওপর উঠে লাফিয়েছিল, সোহাগ শার্ট খুলে লাঠি হাতে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে, আব্বাস আলী গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলা করেছে, আশরাফুল ইসলাম পুলিশের পিকআপ ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলা করেছে। এ ছাড়াও উজ্জ্বল ও মাহবুবুল পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও সড়ক অবরোধ করেছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, বড় নেতারা তাদের হেলমেট পরে যেতে বলে যাতে নাশকতার সময় কেউ তাদের শনাক্ত করতে না পারে। এ ছাড়া সেখানে আগে থেকেই লাঠিসোটা রাখা ছিল।

উল্লেখ্য, দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মধ্যেই গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানসহ দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

বুধবার রাতেই বিস্ফোরক ও বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, বিশেষ আইনে এবং বাংলাদেশ দণ্ডবিধি আইনে পল্টন থানায় মামলা তিনটি দায়ের করে পুলিশ। ২১ নম্বর মামলার বাদী হলেন পল্টন থানার এসআই সোমেন কুমার বড়ুয়া, ২২ নম্বর মামলার বাদী এসআই আল আমিন এবং ২৩ নম্বর মামলার বাদী এসআই শাহীন বাদশা।

তিনটি মামলার এজহারে মোট ৪৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও সহস্রাধিক জনকে আসামি করা হয়েছে।

জেএ/এসএইচএস/এমএস

আরও পড়ুন